Oxygen Crisis: হাসপাতালে অক্সিজেন নেই! মারা যাচ্ছে রোগী! গোটা দেশের ছবিটা ভয়াবহ
হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স। তাতে রোগী। ছটফট করছেন অক্সিজেনের জন্য। কিন্তু অক্সিজেন বাড়ন্ত। কোভিড পরিস্থিতিতে হাসপাতালে তুঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা। অথচ কার্যত অমিল হয়ে পড়ছে অক্সিজেন। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই ছবিটা কেবল কোনও একটা জায়গার না, গোটা দেশের। সবচেয়ে চাহিদা বেশি দিল্লিতে। এরপরেই রয়েছে লখনউ, বেনারসের মত অঞ্চলগুলি। আতঙ্ক ধরানো ছবি পশ্চিমবঙ্গেরও। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
উত্তর ভারতের পর এবার অক্সিজেন সঙ্কট বাংলাতেও। অক্সিজেন সঙ্কটে মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল। হাসপাতালের ৮০জন রোগীর মধ্যে ৫০জন করোনা আক্রান্ত। অথচ হাসপাতালের হাতে বেঁচে রয়েছে মাত্র ১ ঘন্টা চলার মত অক্সিজেন! কীভাবে পরিস্থিতি সামাল? অনিশ্চয়তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
কোথাও অক্সিজেনের জন্য কাতরাচ্ছেন রোগীরা । কোথাও অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ার অভিযোগও রয়েছে। কোথাও একটা মাত্র অক্সিজেনের সিলিন্ডার পেতে পড়েছে লম্বা লাইন। ভাগ্যের জোরে সিলিন্ডার পেলেও, তা নিয়ে যেতে হচ্ছে ঠেলে ঠেলে! (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
বাংলায় যখন এই ছবি, তখন দিল্লির অবস্থা আরও ভয়াবহ! দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবের কারণে শুক্রবার রাতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। মৃতসরের নীলকান্ত হাসপাতালে, অক্সিজেনের অভাবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
অক্সিজেনের আকাল দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালেও।অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকঠাক হচ্ছে না বলে অভিযোগ, দিল্লির লোক নায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
এই প্রেক্ষাপটে অক্সিজেনের অভাব নিয়ে মহারাজা অগ্রসেন ও বাটরা হাসপাতালে দায়ের করা মামলার শুনানিতে শনিবার দিল্লি হাইকোর্ট কড়া বার্তা দিয়ে বলে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে গাফিলতি দেখলে কেন্দ্র, রাজ্য বা স্থানীয় স্তরের কোনও অফিসারকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। অক্সিজেন সরবরাহে কারা বাধা দিচ্ছে, একবার বলুক দিল্লি সরকার। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ফাঁসিতেও ঝোলানো হবে। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
শনিবার অক্সিজেন সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অক্সিজেনের দাম কমাতে সিলিন্ডারে আমদানি শুল্ক ও হেলথ সেসে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আপাতত তিন মাস এই ছাড় বলবৎ থাকবে। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
এদিনই দিল্লির গঙ্গারামপুর ও বাটরা হাসপাতালে পৌঁছয় অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার। লখনউয়ে পৌঁছেছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। চাহিদা মেটাতে এবার আকাশপথে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হচ্ছে অক্সিজেন। গাজিয়াবাদের হিন্দান এয়ারবেস থেকে বায়ুসেনার বিমান পৌঁছয় সিঙ্গাপুরে।অন্যদিকে বায়ুসেনার আরও একটি সি-১৭ বিমান পুণে থেকে অক্সিজেন নিয়ে গেল গুজরাটের জামনগরে। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
অক্সিজেন সিলিন্ডার না মেলায়, ব্যাপক হারে চাহিদা বেড়েছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর্সের। এই পরিস্থিতিতে, আমেরিকাকে দশ হাজার অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটারের বরাদ দিয়েছে ভারত। পরের সপ্তাহ থেকেই তা আসা শুরু করবে বলে সূত্রের খবর। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
অন্যদিকে আজ পশ্চিমবঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, ‘করোনার পজিটিভ রিপোর্ট থাকলেই এবার মিলবে অক্সিজেন। শুধুমাত্র চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থাকলেই অক্সিজেন নয়।’ নবান্নে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্টসচিব-সহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত। করোনায় কারও মৃত্যু হলে বিনামূল্যে সৎকার, সিদ্ধান্ত সরকারের। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
অক্সিজেন ছাড়াও করোনাকালে দুর্মূল্য রেমডিসিভির। চাই নিয়েও গাইড লাইন চালু হয়েছে। জানানো হয়েছে, শুধু হাসপাতাল থেকেই এবার মিলবে রেমডেসিভির। খোলা বাজারে আপাতত মিলবে না রেমডেসিভির। সব করোনা রোগীর জন্যেই রেমডেসিভির নয়। সংক্রমিত হওয়ার ৫-১০দিন পর্যন্ত দেওয়া যাবে রেমডেসিভির। রেমডেসিভির নিয়ে নতুন নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের । অক্সিজেনের প্রয়োজন না থাকলে, হাসপাতালে চিকিৎসা নয়। অক্সিজেনের প্রয়োজন না থাকলে সেফ হোম, বাড়িতেই চিকিৎসা, ষাটোর্ধ্বদের কোমর্বিডিটি থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা। সেফ হোমে রাখার ১০দিন পরে ছাড়া হবে রোগীকে’ (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -