Jawaharlal Nehru Death Anniversary: দোষারোপ নয়, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে সমৃদ্ধ করার পক্ষপাতী ছিলেন নেহরু
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। আমৃত্যু দেশের প্রশাসনিক প্রধান। শুক্রবার ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী জওহরলাল নেহরুর। ফিরে দেখা দেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রীকে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্কুলের চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত গৃহশিক্ষা। উচ্চশিক্ষার জন্য তার পর ইংল্যান্ড গমন। ২২ বছর বয়সে দেশে ফেরা। পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া আইন।
বাবা মোতিলাল নেহরুর ছত্রছায়ায় বাড়িতেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন নেহরু, যা রাজনীতিতেও টেনে আনে তাঁকে।
১৯১২ সালে পটনার বাঁকিপুরে প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেস সমাবেশে যোগদান। চার বছর পর প্রথম বার সাক্ষাৎ মহাত্মা গাঁধীর সঙ্গে। গাঁধীর অনুপ্রেরণাতেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনে।
১৯২০ সালে উত্তরপ্রদেশে প্রথম কিসান মঞ্চের আয়োজন। অসহয়োগ আন্দোলনে যোগদানের জন্য ১৯২০-’২২ সালের মধ্যে দু’বার জেলবন্দি হন। ১৯২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন।
স্বাধীনতা আন্দোলেন যোগদানের জন্য সবমিলিয়ে প্রায় ন’বছর জেল খাটেন নেহরু। জেলে বসেই একের পর এক কালজয়ী রচনা। দূর থেকে বসে পরামর্শ দেওয়া সহজ, তার ফল ফল ভোগ করার ক্ষমতা সকলের থাকে না বলে মন্তব্য করেছিলেন নেহরু।
ব্যর্থতা নিয়ে নেহরুর মত ছিল, আদর্শ, লক্ষ্য এবং নীতিবোধ থেকে বিচ্যূত হলেই ব্যর্থতা নেমে আসে। বহুত্বের মধ্যে ঐক্যের পক্ষপাতী ছিলেন নেহরু।
ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নাম লেখা থাকলেও ইদানীং পান থেকে চুন খসলেই দোষ এসে পড়ে তাঁর ঘাড়ে।
নেহরু নিজে যদিও মনে করতেন, ইতিহাসের সমালোচনা করা অপরাধ নয়। কিন্তু তাকে দোষারোপ না করে, যা কিছু ভাল, সব সংগ্রহ করে বর্তমানকে সমৃদ্ধ করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।
১৯৪৩ সালে জেলে বসে ‘দ্য পাস্ট অ্যান্ড দ্য প্রেজেন্ট’ নামক প্রতিবেদনে তাই লেখেন, অতীত থেকে শক্তি সঞ্চয় করে, রথী-মহারথীদের দেখে শেখা উচিত।
১৯৬৩ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন নেহরু। ১৯৬৪০র জানুয়ারি মাসে ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সে বার ধাক্কা ছিল গুরুতর। তৃতীয় বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন ১৯৬৪ সালের ২৭ মে। তাতেই মৃত্যু হয় নেহরুর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -