Narendra Modi Birthday: শৈশবেই সঙ্ঘ সংসর্গে, সন্ন্যাস নিতে ছাড়েন সংসার, ৭২-এ পড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
রাজনীতিতে বরাবর বিতর্ক সঙ্গী হয়ে থেকেছে তাঁর। কিন্তু জনপ্রিয়তা টাল খায়নি এতটুকু। বরং গুজরাত ছাড়িয়ে তার পরিব্যাপ্তি ঘটেছে জাতীয় রাজনীতিতে। এমনকি বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতাও জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে তাঁর কাছে। শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্বাধীনতার পর জন্মগ্রহণকারী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন গুজরাতের মেহসানায়। পরিবার মোধ-ঘাঁচি-তেলি সম্প্রদায়ভুক্ত, তেল ভানার কাজ করতেন যাঁরা। সেই অর্থে অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবেই চিহ্নিত।
মাত্র আট বছর বয়সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের সংস্পর্শে আসা। তখন থেকেই সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরে যাতায়াত। ১৮ বছর বয়সে যশোদাবেন চিমনলালের সঙ্গে বিবাহ। কিন্তু তার কিছু দিনের মধ্যেই সংসার এবং স্ত্রীকে ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন মোদি। শোনা যায়, সংসার জীবন পোষাচ্ছিল না তাঁর। তাই সন্ন্যাস জীবন কাটাতেই বেরিয়ে পড়েন।
সংসার ছাড়ার পর উত্তর এবং পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা ভ্রমণ করেন মোদি। বেলুড় মঠ থেকে, গুয়াহাটি, অলমোড়ার অদ্বৈত আশ্রম থেকে রাজকোটের রামকৃষ্ণ মিশন, নানা সময়ে নানা আশ্রম এবং মঠে জীবনের বেশ কিছু সময় কাটিয়েছেন তিনি।
কিন্তু সন্ন্যাসের লক্ষ্য নিয়ে বেরোলেও, জীবন তাঁর জন্য হয়ত অন্য কিছু ভেবে রেখেছিল। একসময় গুজরাত ফিরে যান তিনি। ওই সময়ই নতুন করে ফের পড়াশোনা শুরু করেন বলে শোনা যায়। ১৯৬৭ সালে সঙ্ঘের সদস্যতা গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন।
তৎকালীন ইন্দিরা গাঁধী সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেন মোদি। ১৯৭৯ সালে দিল্লি চলে যান। তার পর ১৯৮৫ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যতা গ্রহণ। ১৯৮৭ সালে আমদাবাদ নগর নিগম নির্বাচনে অংশ নেন। তাতে জয়ী হয়েই সক্রিয় রাজনীতিতে ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে এগনো শুরু।
গুজরাতে বিজেপি-র সম্পাদক হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন মোদি। জায়গায় জায়গায় কর্মকর্তাদের পৃথক গোষ্ঠী গড়ে তোলেন তিনি। ১৯৯০ সালে লালকৃষ্ণ আডবানি রথযাত্রায় বেরোলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যায় মোদিকে। ১৯৯৫ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর।
ধীরে ধীরে বিজেপি-তে গুরুত্ব বাড়তে থাকে মোদির। ২০০১ সালে প্রথম বার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর আমলেই গুজরাতে রক্তক্ষয়ী গোধরা-কাণ্ড এবং গুজরাত দাঙ্গা হয়। তার জেরে গোটা বিশ্বে সমালোচনার মুখে পড়েন মোদি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ী মোদিকে ‘রাজধর্ম পালন’-এর নিদান দেন।
১০১৪ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। তবে মোদি যে বিবাহিত, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও সে ব্যাপারে অবগত ছিলেন না কেউ। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ই স্ত্রীর নামের উল্লেখ করেন তিনি। আজও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তাঁদের। লোকসভা নির্বাচনে মোদির জন্য মন্দিরে পুজো দিতেও যান যশোদাবেন।
মোদি জানিয়েছেন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১৩ বছরে একদিনও ছুটি নেননি তিনি। কাজকর্মের তদারকির জন্য তিন জনের বেশি লোক কখনও রাখেননি বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী হয়েও ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন বলে জানান। যদিও প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -