Leaning Tower Garisenda: দান্তের কবিতায় মেলে উল্লেখ, বহু ভাঙা-গড়া, ঐতিহাসিক ওঠাপড়ার সাক্ষী, ভেঙে পড়ার মুখে ইতালির হেলে থাকা এই টাওয়ার
শত শত বছর ধরে ভাঙা-গড়ার খেলা দেখেছে চোখের সামনে। তাকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে আস্ত ইতিহাস। এবার মাটিতে মিশে যাওয়ার মুখে ইতালির বিখ্যাত গারিজেন্দা টাওয়ার।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমাটির উপর উল্লম্ব ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও, ঈষৎ হেলে রয়েছে ইতালির পিসার টাওয়ার। ওই একই ভাবে হেলে রয়েছে ইতালির বোলোনিয়ার গারিজেন্দা টাওয়ারও।
কমতে কমতে বর্তমানে ১৫০ ফুট উঁচু গারিজেন্দা টাওয়ারটি। ১১০৯ থেকে ১১১৯ সালের মধ্যে সেটি নির্মিত হয়েছিল। ১৪ শতক থেকেই সেটি হেলতে শুরু করে। মাটির উপর উল্লম্ব ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও, ৪ ডিগ্রি হেলে রয়েছে সেটি। সেই তুলনায় পিসার টাওয়ারটি হেলে রয়েছে ৫ ডিগ্রি।
দান্তের লেখা কাব্য ‘দ্য ডিভাইন কমেডি’তেও গারিজেন্দা টাওয়ারের উল্লেখ পাওয়া যায়। গারিজেন্দা পদবীধারী একটি অভিজাত পরিবার সেটির নির্মাণ করে এবং পরে পুরসভার হাতে তুলে দেয় বলে জানা যায়। টাওয়ারের ভিতরে ৪৯৮টি ধাপের সিঁড়ি রয়েছে। উপরে উঠে গোটা শহরের সৌন্দর্য দেখা যায়।
গারিজেন্দা টাওয়ারটিকে ধরে রাখতে কম চেষ্টা করেনি ইতালির সরকার। তার উপরিভাগ ভেঙে ফেলে দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি।
২০১৯ সাল থেকে টাওয়ারটির উপর নজরদারি ছিল বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির। প্রাচীন টাওয়ারটির গায়ে সেন্সর বসান তাঁরা, যাতে একচুল হেলে পড়তে দেখলেও, তার হিসেব থাকে নখদর্পণে।
শেষ মেশ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হাত তুলে নেন সকলে। বিজ্ঞানীরা জানান, টাওয়ারটিকে কোনও ভাবেই রক্ষা করা সম্ভব নয়। সেটি ভেঙে পড়া সময়ের অপেক্ষা। এর পরই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
বোলোনিয়া জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়। কারণ বিজ্ঞানীদের মতে প্রাচীন কালে যে পদ্ধতিতে টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তাতে যখন সেটি মুখ থুবড়ে পড়বে, পাথরের চাঁই ফুঁড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার মাটিও উপরে উঠে আসবে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও হেলে পড়ছে গারিজেন্দা টাওয়ার। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, যে কোনও মুহূর্তে টাওয়ারটি ভেঙে পড়তে পারে। তাতে ওই এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। চারিদিকে গড়ে তোলা হয়েছে ধাতব বেড়া, যাতে ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা এড়ানো যায়।
টাওয়ারটি ভেঙে পড়ার পর, ধ্বংসাবশেষ যাতে বের করে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য গড়া হয়েছে বিশেষ করিডরও। ওই এলাকায় আসা যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় মানুষজনের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -