Shunya Bridge: আকারে ০, তবে ‘শূন্য’ নয় মোটেই, প্রযুক্তি ও ইতিহাসের মেলবন্ধন, আরও ঝকঝকে মায়ানগরী

সমুদ্র, পাহাড়, কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধান শুধু। এক শহরে রয়েছে সবকিছুই। চোখ ধাঁধানো নির্মাণও দাঁড়িয়ে দেখতে হয়। মায়ানগরী মুম্বইয়ের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হতে চলেছে এবার।

তবে যে সে নির্মাণ নয়, মায়ানগরীর দিগন্তে এবার শোভা পেতে চলেছে বৃহদাকার একটি ‘শূন্য’। শূন্য অর্থাৎ ০-ই, যা আবিষ্কার করেছিলেন আর্যভট্ট। এই এক শূন্যই মুম্বইয়ের চেহারা পাল্টে দিতে চলেছে।

আসল কথা হল, মুম্বই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (MMRDA) ‘শূন্য সেতু’ গড়ছে। ডিএন নগর থেকে মান্ডেলের মাঝে আন্ধেরি, বান্দ্রা, কুরলা, চেম্বুরকে সংযুক্ত করতে মেট্রো লাইন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই সেতুর উপর দিয়েই ছুটবে মেট্রোর রেক।

নদীর উপর দিয়ে তৈরি ওই সেতুটির নকশার দায়িত্বে রয়েছে Designfakt India সংস্থা। খানিকটা বাংলার হুগলি সেতুর আদলে তৈরি হলেও, সেতুটির একটি অংশ শূন্যের আকারের বলয় দ্বারা বেষ্টিত।

এখনও নির্মীয়মান অবস্থায় রয়েছে সেতুটি। কিন্তু তার নকশা সামনে এসেছে। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।নির্মাণ সম্পন্ন হলে ওই সেতু মুম্বইয়ের সৌন্দর্যে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলে একমত প্রায় সকলেই।

আধুনিক প্রযুক্তি তৈরিতে নির্মাণ হলেও, ওই সেতুটিতে ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মিশেল থাকছে। কারণ সেতুতে শূন্য যুক্ত করে আসলে আর্যভট্টকে সম্মান জানানো হয়েছে।

জে কুমার ইনফ্র্যাপ্রজেক্টসকে ওই সেতু তৈরির বরাত দিয়েছে MMRDA. ২০২১ সালের মে মাসে বরাত দেওয়া হয়। সেতু তৈরিতে খরত পড়বে ১৩০৭.৮৮ কোটি টাকা। ৩০ মাসের মধ্যে সেটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা।

আম্বানি পরিবারের সুউচ্চ অট্টালিকা থেকে শাহরুখ খানের ‘মন্নত’, মুম্বইয়ে চোখ ধাঁধানো নির্মাণের কমতি নেই। দেড় দশক আগে বান্দ্রা-ওরলি সমুদ্র সেতুও সেই সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

‘শূন্য সেতু’ তৈরির কাজ সম্পন্ন হলে মুম্বইয়ে পৃথক পরিচিতি তৈরি হবে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা চলছে।

মুম্বইয়ের সৌন্দর্যায়নে কোনও খামতি রাখতে চায় না বর্তমান সরকার। তাদের মতে, এমনিতে মুম্বইয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বাস মানুষের। তার মধ্যে নতুন নির্মাণ দাঁড় করানো কঠিন কাজ। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি সেই কাজ সহজতর করে তুলেছে।