Nalanda University: কবে থেকে শুরু হয়েছিল নালন্দা, কারা ছিলেন পড়ুয়া? জেনে নিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
বৌদ্ধ ধর্ম সহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে ৪২৭ শতাব্দীতে একদা মগধ (বর্তমানে বিহার) তৈরি করা হয়েছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বা নালন্দা মহাবিহার। যাকে প্রাচীন বিশ্বের সবচেয়ে ভালো শিক্ষার স্থান হিসেবেও উল্লেখ করেছেন গবেষক ও ইতিহাসবিদরা। গুপ্ত যুগে তৈরি হওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গৌতম বুদ্ধ ও ১৬০০ বছর আগে জৈন ধর্ম গুরু মহাবীর এসেছিলেন বলেও জানান তাঁরা।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবর্তমান বিশ্বের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন আইআইটি, আইআইএম বা ভাষা শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিতে কড়া পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে সুযোগ পেতে হয় তেমনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্যও প্রাচীন কালে অনেক শক্ত পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেত হত পড়ুয়াদের।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
যাঁরা সমস্ত পরীক্ষা পাশ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেতেন তাঁদের সেই সময়ের বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষকরা যেমন ধর্মপাল এবং শীলভদ্রের মতো মানুষরা শিক্ষা দিতেন। বর্তমানে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে UNESCO-র তরফে বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
মনে করা হয়, বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান মতে শিক্ষা দেওয়া হত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানকার গ্রন্থাগার 'ধর্মগুঞ্জ'-এ একসময়ে হাতে লেখা তালপাতা পাণ্ডুলিপি ছিল ৯০ লক্ষ। যা সেই সময়ে পুরো বিশ্বে বৌদ্ধ ধর্ম সংক্রান্ত জ্ঞানের সবথেকে বড় ভাণ্ডার ছিল।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
পঞ্চম শতাব্দী থেকে ১২ শতাব্দী পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষা লাভের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা যেমন চিন, কোরিয়া, জাপান, তিব্বত, মঙ্গোলিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থেকে পড়ুয়া আসতেন এখানে। পূর্ব ও মধ্য এশিয়ার ১০ হাজার বেশি পড়ুয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছিল বলে জানান গবেষকরা।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
অঙ্কের জনক আর্যভট্ট নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন। তিনি ছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন ধর্মপাল ও শীলভদ্রের মতন মনীষীরা। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
সারা বিশ্ব থেকে পড়ুয়ারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন আয়ুর্বেদের সব থেকে ভালো শিক্ষা নিতে আসতেন। এছাড়া এখানে পড়ানো হত অঙ্ক, ন্যায়শাস্ত্র, ব্যাকরণ, ভারতীয় দর্শনবিদ্যা ও জ্যোর্তিবিজ্ঞান। এখান থেকে বৌদ্ধ ধর্মের সবথেকে পণ্ডিত মানুষরা শিক্ষা লাভ করেছিলেন। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
নালন্দা ছিল বিশ্বের অন্যতম প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকে বৌদ্ধ ধর্ম ও তার আদর্শগুলো পুরো বিশ্ব ছড়িয়ে পড়েছিল। এখান থেকে শিক্ষা হয়েছিল অনেক মহান পণ্ডিত ও মনীষীর। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
গুপ্ত বংশের রাজা বা সম্রাটদের পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন পাল রাজারা ও হর্ষবর্ধন। চিনের বিখ্যাত পণ্ডিত ও পর্যটক বৌদ্ধ ভিক্ষু হিউয়েন সাং ও ই ৎসিং-এর মতো মানুষরা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক বিষয়ে শিক্ষা লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর প্রাচীন পুঁথিও চিনে নিয়ে গেছেন বলে জানা যায়।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
হিউয়েন সাং-এর লেখা থেকে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি কীভাবে বারবার ধর্মীয় কারণে হওয়া আক্রমণে এই বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত ১২০০ শতাব্দীতে বখতিয়ার খিলজি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। নষ্ট করে দেয় এর সমস্ত প্রাচীন পুঁথি ও সম্পদ।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -