Nepal News: রামধনু রংয়ের ভালবাসাকে আইনি স্বীকৃতি, ভারত-চিন যা পারেনি, করে দেখাল নেপাল
দুই প্রবল শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ যা পারেনি, তা করে দেখাল নেপাল। সাময়িক ভাবে হলেও, হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট দেশটিতে স্বীকৃতি পেল সমলিঙ্গের বিবাহ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগত ২৮ জুন নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশের দেওয়ানি বিধিতে পরিবর্তন ঘটানোরও নির্দেশ দিয়েছে নেপালের সর্বোচ্চ আদালত। তাতে সময় লাগলেও, বিচারপতি তিলপ্রসাদ শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন, অবিলম্বে সমলিঙ্গের বিবাহের আইনি নথিভুক্তিকরণ শুরু করতে হবে।
ভারতের মতো সমলিঙ্গের বিবাহে আইনি সিলমোহরের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চলছে নেপালে। জুন মাসে সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতেই সমলিঙ্গের বিবাহকে স্বীকৃতি এবং সেই মর্মে দেশের দেওয়ানি বিধিতে পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট।
নেপালে সমলিঙ্গের বিবাহকে স্বীকৃতিদানের দাবি জানিয়ে লড়াই করে আসছিলেন সে দেশের ‘ডায়মন্ড সোসাইটি গে রাইটস অর্গানাইজেশন’-এর সদস্য পিঙ্কি গুরুং। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।’’
হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ নেপাল। উপমহাদেশের অন্য দেশগুলির মতো, সেখানেও সমাজ ব্যবস্থা রক্ষণশীল। কিন্তু গত দু’দশক ধরে সমলিঙ্গের সম্পর্ককে বৈধতা প্রদানের দাবি ক্রমশ জোরাল হয়েছে সেখানে।
নেপালের সুপ্রিম কোর্ট যদিও বরাবরই এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৭ সালেই সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে আইন তৈরির নির্দেশ দেয় তারা। ২০১৩ সালে সরকারের সামনে সমলিঙ্গের মানুষদের সমানাধিকারের দাবির পক্ষে রায় দেয় আদালত।
কিন্তু তার পরেও বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি চলেছে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সমলিঙ্গের মানুষের জন্য বিবাহ আইন তৈরি করে উঠতে পারেনি নেপাল সরকার। ফলে দফায় দফায় শুনানি চলে আসছিল। এ বছর মার্চ মাসেই জার্মানিতে বিবাহবন্ধন আবদ্ধ হওয়া দুই সমলিঙ্গের দম্পতিকে আইনি বৈধতা প্রদানের নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে এবার আর আইন তৈরির অপেক্ষায় বসে না থেকে, সমলিঙ্গের বিবাহকে স্বীকৃতি দিল আদালত। শুধুমাত্র নারী-পুরুষের বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া দেওয়ানি বিধিতে সেই মতো সংশোধন ঘটাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ২০০৭ সালে সমলিঙ্গের মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে এবং সমাজে তাঁদের সমানাধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল আদালত। তার পর থেকে সেখানে সমলিঙ্গের মানুষজন রীতি মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও, আইনি স্বীকৃতি মেলেনি। তাঁদের জন্য পথ উন্মুক্ত করে দিল আদালত।
মধ্যযুগীয় রক্ষণশীলতা ত্যাগ করে বিগত কয়েক বছরে বিশ্বের একাধিক দেশে সমলিঙ্গের বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে। এশিয়ার মধ্যে একমাত্র তাইওয়ানেই এতদিন সমলিঙ্গের বিবাহ স্বীকৃত ছিল। সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল নেপালেরও। ভারত, জাপান, তাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশেও সমলিঙ্গের বিবাহের বৈধতাপ্রাপ্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বহু মানুষ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -