Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য, জানলে অবাক হতে হয়
জগন্নাথ মন্দির ভারতের অন্যতম। প্রতি বছর লক্ষাধিক ভক্ত জগন্নাথ মন্দিরে যান। এই মন্দিরের সঙ্গে বেশ কিছু অব্যক্ত বিজ্ঞান, রহস্য এবং অলৌকিক ঘটনা জড়িত, যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appইতিহাসবিদ, বিজ্ঞানী, এমনকি পুরোহিত এবং সাধারণ মানুষ এত বছর ধরে এই রহস্যের সমাধান করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি একটি রহস্যই রয়ে গেছে।
যেমন মন্দিরের ধ্বজা। মন্দিরের ধ্বজাটি বাতাস যে দিকে প্রবাহিত হয় তার বিপরীতে উড়তে থাকে। বলা হয় এটি ১৮০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য পতাকা বদলানোর। একজন পুরোহিত প্রতিদিন জগন্নাথ মন্দিরের শিখরে ওঠেন। কথিত আছে যে যদি এই আচারটি একদিনের জন্যও বাদ দেওয়া হয়, তবে মন্দিরটি দীর্ঘ ১৮ বছর বন্ধ থাকবে।
জগন্নাথ দেবের মূর্তিটিতেও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কাঠের মূর্তিটি ৮, ১২ কিংবা ১৯ বছর পর পর একবার প্রতিস্থাপিত হয়। নিম গাছের কাঠ কেটে তৈরি হয় মূর্তি। ২১ দিনের মধ্যে তৈরি করতে হয় এই বিগ্রহ।
পর পর ৭টি মাটির পাত্র একটিকে আর একটির ওপর বসিয়ে রান্না হয়, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সবচেয়ে উপরের পাত্রটি আগে সেদ্ধ হয় এবং সবচেয়ে তলারটি সবার শেষে সেদ্ধ হয়।
এটা তো অনেকেরই জানা, মন্দিরে প্রতিদিন একই পরিমান প্রসাদ রান্না হয় কিন্তু কখনও প্রসাদ বাড়তিও হয়না আবার কম ও পড়েনা। অথচ প্রতিদিন মন্দিরের দর্শনার্থীদের সংখ্যা যে এক হয়না তা বলাই বাহুল্য।
মন্দিরের গোপুরমের মাথায় অবস্থিত সুদর্শন চক্রটি এমনভাবে বসানো হয়েছে, যে শহরের যেখানেই আপনি থাকুন না কেন, মনে হবে চক্রটি আপনার দিকেই মুখ করে রয়েছে।
এমনই আশ্চর্য ইঞ্জিনিয়ারিং এই মন্দিরের যে প্রধান চূড়ার ছায়া কখনও মন্দিরের প্রাঙ্গনে পড়েনা।
মন্দিরের সিংহদরজা দিয়ে ঢোকার সময়ে সমুদ্রের আওয়াজ কানে আসে কিন্তু দরজাটা পেরিয়েই যদি আবার একটু ঘুরে আসেন একই পথ ধরে তাহলে দেখবেন কোনো আওয়াজ পাবেন না যতক্ষণ না আপনি সিংহদরজার বাইরে যাবেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -