Rabindra Jayanti 2024: জাতীয়তাবাদ আসলে স্বার্থকেন্দ্রিক, মনে করতেন তিনি, যে কারণে আজও প্রাসঙ্গিক রবীন্দ্রনাথ
আজও ২৫ বৈশাখ ঘিরে বাড়তি আবেগ রয়েছে বাঙালিদের মধ্যে। বাংলা ক্যালেন্ডারের এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইংরেজিতে দিনটি ৭ মে। -ফাইল চিত্র।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআজকের দিনেও কতটা প্রাসঙ্গিক রবীন্দ্রনাথ, তাঁর জন্মদিনে বার বার ঘুরেফিরে আসে এই প্রসঙ্গ। জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা ফিরে দেখা আরও একবার। -ফাইল চিত্র।
‘গোরা’, ‘ঘরে ও বাইরে’, ‘চার অধ্যায়’-এ জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে। ‘ন্যাশনালিজম’-সহ একাধিক লেখালেখিতেও নিজের অবস্থান বুঝিয়েছেন কবি। -ফাইল চিত্র।
দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদকে এক বন্ধনীতে রাখার পরিপন্থী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর বক্তব্য ছিল, 'বিশ্ব-মানবের প্রতি ভালবাসা বোধের বিপরীতে দাঁড়িয়ে যেমন প্রকৃত দেশপ্রেমের নিখুঁত স্ফূরণ ঘটতে পারে না, ঠিক তেমনই প্রগাঢ় দেশপ্রেমকে উপেক্ষা করে সত্যিকার মানবপ্রেম জাগরিত হতে পারে না'। -ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্রনাথের মতে, জাতির ধারণা সম্পূর্ণ ভাবে পশ্চিমি এবং আধুনিক। জাতীয়তাবাদকে তিনি যান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক বলেও উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, জাতির মূল উদ্দেশ্য হলরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থে সমাজের অভ্যন্তরে আত্মনির্ধারণ এবং নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য অপরের উপর বলপ্রয়োগের প্রচেষ্টা। -ফাইল চিত্র।
কবি বলেছিলেন, যে কোনও সমাজ যখন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে এবং অপরের উপর বলপ্রয়োগ শুরু করে, তা মানবজাতির পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ মানুষ তখন ক্ষমতাকেই অগ্রাধিকার দিতে শুরু করে ও আধুনিক হওয়ার চরম নেশায় মত্ত হয়ে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক হয়ে ওঠে। -ফাইল চিত্র।
জাতীয়তাবাদী চিন্তার মধ্যে ক্ষমতা, আধিপত্য এবং সংগ্রামের বীজ লুকিয়ে রয়েছে,যা মানবজাতি এবং সমাজব্যবস্থায় ভিন্নতা সৃষ্টি করে এবং ব্যক্তি স্বাধীনতাকে আহত করে বলে মত ছিল কবির। -ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে জাতীয়তাবাদ স্বার্থকেন্দ্রিক মানুষের সম্মিলিত রূপ, যা কখনওই মানবিক নয়, আত্মিক নয়। জাতীয়তাবাদ মানবিকতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং মানুষের নৈতিকতা, অনুভূতি এবং ঐক্যবোধকে পদদলিত করে। -ফাইল চিত্র।
জাতীয়তাবাদ আসলে উগ্র দেশপ্রেমের নামে বিচ্ছিন্নতাকে প্রশ্রয় দেয় বলে মত ছিল রবীন্দ্রনাথের। দেশপ্রেমকে সর্বাগ্রে স্থান দেননি রবীন্দ্রনাথ। তাঁর মত ছিল, দেশপ্রেম কখনওই মানবিকতার ঊর্ধ্বে নয়। ক্ষুদ্র দেশপ্রেমের পরিবর্তে আন্তর্জাতিকতার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। উগ্র জাতীয়তাবাদকে দানবীয়, দুর্বুদ্ধি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। -ফাইল চিত্র।
বন্ধুকে লেখা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘দেশপ্রেম আমাদের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক আশ্রয় হতে পারে না। হিরের দামে ঠুনকো কাচ কিনব না আমি। যতদিন বাঁচব, দেশপ্রেমকে কখনও মানবতার ঊর্ধ্বে ঠাঁই দিতে চাই না আমি’। -ফাইল চিত্র। তথ্যাসূত্র: Nationalism, Nationalism in India, Nationalism in In West by Rabindranath Tagore, Selected Letters of Rabindranath Tagore, Published by Cambridge University Press.
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -