Rahul Gandhi: ‘যা পেয়েছি তোমার থেকে, দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি’, মাকে নিয়ে আবেগপ্রবণ রাহুল
দীর্ঘদিন রাজনীতিতে থেকেও যোগ্যতা প্রমাণ করে যেতে হচ্ছে আজও। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ তাতে কিছুটা হলেও অক্সিজেন জুগিয়েছে। শনিবার হরিয়ানা থেকে দিল্লির পৌঁছয় পদযাত্রা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএ দিন যাত্রাপথে রাহুল পাশে পান মা সনিয়া গান্ধী, বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, জামাইবাবু রবার্ট বঢরাকে। রাহুলের পাশে লালকেল্লায় দেখা যায় অভিনেতা কমল হাসনকেও।
এতকিছুর মাঝে মায়ের প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা এবং আবেগে ভাসলেন রাহুল। মায়ের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে লিখেছেন, ‘যে ভালবাসা পেয়েছি এঁর সঙ্গে, তা-ই ভাগ করে নিচ্ছি দেশের সঙ্গে’।
এর আগে, দক্ষিণেও রাহুলের পদযাত্রায় একবার যোগ দিয়েছিলেন সনিয়। সেখানেও মা-ছেলের স্নেহপ্রবণ মুহূর্ত ধরা পড়ে ক্য়ামেরায়। মায়ের জুতোর ফিতে বেঁধে দেওয়া থেকে, বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁকে গাড়িতে তুলে দেওয়ার মুহূর্ত সামনে আসে।
শনিবার সকালে হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে প্রবেশ করে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। অভিনেতা কমল হাসনও তাতে যোগ দেন। রাহুল পাশে পান অভিনেত্রী দিব্যা দত্ত।
পদযাত্রা লালকেল্লা পৌঁছলে এ দিন বিরাট সভার আয়োজন হয়। সেখানে কার্যত জনসমুদ্র ভেঙে পড়ে। সেখান থেকে বিজেপি এবং কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল।
এ দিনের সভায় রাহুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু আসলে দেশে আম্বানি-আদানির সরকার চলছে।”
সাধারণ মানুষের উদ্দেশে রাহুল আরও বলেন, আপনাদের টাকা, কৃষক, শ্রমিকদের টাকা, আপনাদে বন্দর, বিমানবন্দর, আপনাদের রাস্তা, সব টাকা সরাসরি মালিকের পকেটে ঢুকছে। সবাই জানে কার সরকার চলছে দেশে।
দেশে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। তিনি বলেন, “দেশে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা শুধু হিন্দু-মুসলিম চলছে। এটা কিন্তু আসল বাস্তব নয়। আমি কন্যাকুমারী থেকে পায়ে হেঁটে এসেছি। হেঁটে পেরিয়েছি ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ। কোথাও ঘৃণা দেখলাম না। লক্ষ লক্ষ মানুষের সংস্পর্শে এসেছি, নিজের চোখে দেখেছি পারস্পরিক সহানুভূতি, ভালবাসা। আসলে হিন্দু-মুসলিম তত্ত্ব চালানো হয়, যাতে আসল সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘোরানো যায়। ”
এ দিন কমল হাসনও বক্তৃতা করেন সভায়। তিনি বলেন, “দেশ ভাঙতে নয়, জুড়তে হাত বাড়ান। এখনই এগিয়ে আসতে হবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বুঝলাম।”
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -