Election Results 2024
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Wayanad Landslide: কেরলে মৃত্যু বেড়ে ৩০০ হওয়ার দিকে, বুলডোজার নামাতে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ, বিপর্যয়স্থলে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা
যত সময় এগোচ্ছে, বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। কেরলের ওয়েনাডে ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মিলছে খবর। আহতের সংখ্যাও ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই আবহে ভয়াবহতা চাক্ষুষ করতে বিপর্যয়স্থলে পৌঁছলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবুধবারই ওয়েনাড পৌঁছতে চেয়েছিলেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু বিপর্যয়স্থলে হেলিকপ্টার নামানো সম্ভব হবে না বলে রাজ্য প্রশাসন জানায় তাঁকে। ফলে একদিন অপেক্ষা করে, বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছলেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্ক।
এদিন ধ্বংসস্তূপ ঘুরে দেখার পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরে যান রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা। সেখানে অসহায় পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। কীভাবে উদ্ধারকার্য চলছে, তাও সরেজমিনে দেখেন তাঁরা। হাসপাতালেও যাচ্ছেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা।
২০১৯ সালে এই ওয়েনাড থেকেই লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন রাহুল। এবছর লোকসভা নির্বাচনেও ওয়েনাডবাসী তাঁকে জয়ী করেন। পাশাপাশি, রায়বরেলীতেও জয়ী হন তিনি। শেষ পর্যন্ত রায়বরেলীকেই বেছে নেন তিনি। উপনির্বাচনে ওয়েনাডে প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
ওয়েনাডে আজ তৃতীয় দিনেও উদ্ধারকার্য চলছে। সেনা, জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা বাহিনীর জওয়ান, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন। গত দুই দিনে ধ্বংসস্তূপের একটি অংশে পৌঁছনো যায়নি। উপরের অংশ থেকে শুধুমাত্র কিছু দেহ উদ্ধার হয়।
বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছে উদ্ধারকার্য শুরু হয়। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় উদ্ধারকার্য। দুপুর পর্যন্ত চারটি দেহ এবং একটি দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও মানুষজন চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখনও লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে ওয়েনাডে। ফলে জোরকদমে উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে পদে পদে বাধা পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। গাছপালা, বাড়িঘর ভেঙে পড়ে রয়েছে। সেগুলি উদ্ধার করতে বেগ পেতে হচ্ছে সকলকে। ছবির মতো কেরলের ওই অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এই মুহূর্তে বিপর্যয়স্থলে অস্থায়ী সেতু তৈরি করছে সেনা, যাতে তার উপর দিয়ে জেসিবি নিয়ে গিয়ে মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বুধবার রাত থেকে সেতু বানানোর কাজ চলছে। পাহাড় বেয়ে চা বাগানের ধার ঘেঁষে এগনো রাস্তা ধরেই জল এসেই ধস নামে বলে মত সেনাকর্মীদের।
আস্ত একটি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়েছে বলে খবর। জলে তোডে ভেসে গিয়েছে বাড়িঘর। রাস্তাঘাট সব ধুয়ে গিয়েছে। সেই জায়গায় দিয়ে স্রোত বইছে। রাস্তার নীচেও মানুষজন চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা।
এখনও পর্যন্ত ১৫০০-র বেশি মানুষজনকে নিরাপদে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে প্রায় ২৫০ মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -