Kyawthuite: গোটা বিশ্বে রয়েছে মাত্র একটিই, অমূল্য এই মণি কেনার ক্ষমতা নেই ইলন মাস্কেরও
দেখতে বরফের মতো, অথচ ঠান্ডা নয়, আবার গলেও না। ছোটবেলায় স্ফটিক দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। কিন্তুব স্ফটিক হল পৃথিবীর সবচেয়ে সুলভ খনিজ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআমাদের গ্রহের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নানা খনিজ। কোনওটি ঝকঝকে, তো কোনওটি আবার বালির পাহাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অতি সাধারণ দেখতে নুড়ি-পাথর।
কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বিরল খনিজেরও হদিশ মিলেছে। যা গোটা পৃথিবীতেই একটি মাত্রই রয়েছে, তাও আবার ভারতের পড়শি দেশ মায়ানমারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিরলতম এই খনিজটি হল, কিয়থউয়েট (Kyawthuite)। কাচের মতোই স্বচ্ছ দেখতে। রং গাঢ় কমলা। রক্তিম আভাও রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র কিয়থউয়েত মণির সন্ধান মিলেছে। সেটি মায়ানমারের মান্দালয় অঞ্চলের অন্তর্গত মোগোক শহর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরিমাপ সাকুল্যে ১.৬১ ক্যারাট। ২০১৫ সালে সেটিকে মণি হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইন্টারন্যাশনাল মিনারেলজিক্য়াল অ্যাসোসিয়েশন।
কিয়থউয়েত মণি সম্পর্কে বিশদ তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে জানা যায়, ২০১০ সালে উ কও থু নামের এক ব্যক্তি, মায়ানমারের একটি বাজারে কমলা রংয়ের ওই খনিজটিকে দেখতে পান প্রথমে।
উ কও থু জানিয়েছেন, জনৈক পাথর বিক্রেতা মণিটির মূল্য বুঝতে পারেননি। কিন্তু গোড়াতেই সেটিকে বাকি পাথরের থেকে আলাদা মনে হয় তাঁর। তাই সেটি কিনে নেন তিনি।
এর পর ইয়াঙ্গনে সেটিকে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করেন। কিন্তু কোনও পাথরের সঙ্গে সেটির মিল খুঁজে পাননি। এর পর আমেরিকার বিশেষজ্ঞ এবং ইন্টারন্যাশনাল মিনারেলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
২০১৫ সালে সেটি বিরলতম মণি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। উ কও থু-র নামেই নামকরণ বিরলতম মণিটির। তবে আজও সম্পূর্ণ ভবে তার রহস্যভেদ করতে সফল হননি বিজ্ঞানীরা।
এই মুহূর্তে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে রাখা আছে অমূল্য মণিটি। বলা বাহুল্য, যাবতীয় ধন-সম্পত্তি উজাড় করে দিলেও, সেটি কেনার ক্ষমতা আপাতত নেই বিশ্বের তাবড় ধনকুবেরের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -