Republic Day 2022: 'বন্দে মাতরম' এর বদলে স্থান পেল অশোক চক্র, এক নজরে ভারতের পতাকার ইতিহাস
১৯৫০ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি সংবিধান গ্রহণ করে নিজেকে একটি সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক এবং প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল ভারত। দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সূচনা করেছিলেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএকসময় মহাত্মা গাঁধী বলেছিলেন, একটি পতাকা সমস্ত জাতির জন্য প্রয়োজনীয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এর জন্য প্রাণ দিয়েছে। তবে বর্তমানে তেরঙ্গা পতাকা আর প্রথম যে পতাকা উত্তোলন হয়েছিল তা এক ছিল না।
১৯০৪-১৯০৬ সালে স্বামী বিবেকানন্দ একটি পতাকা বানান দেশের জন্য। পতাকাটি লাল এবং হলুদ রঙের সমন্বয়ে ছিল। লাল রঙ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক এবং হলুদ, বিজয়ের প্রতীক। বাংলা ভাষায় লেখা ছিল- 'বন্দে মাতরম'। সেখানে ছিল বজ্র ও শ্বেতপদ্ম।
আরেকটি পতাকাও ১৯০৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। যার উপরের দিকে নীল, মাঝখানে হলুদ এবং নীচে লাল রঙের বিভাজন ছিল। হলুদ অংশে দেবনাগরী হরফে 'বন্দে মাতরম' লেখা ছিল।
১৯১৭ সালে হোমরুল লীগ একটি পতাকা উত্তোলন করে। সেই সময় যখন ভারতে ডোমিনিয়নের মর্যাদা দাবি করা হচ্ছিল।পতাকাটিতে ছিল সপ্তর্ষি মণ্ডল। যদিও কোনওভাবেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি পতাকাটি।
১৯২১ সালে বিজয়ওয়াড়াতে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে একজন অন্ধ্র যুবক একটি পতাকা তৈরি করেন। যেখানে লাল এবং সবুজ দুটি রঙ রাখা হয়। মাঝে ছিল চরকা।
পতাকার ইতিহাসে ১৯৩১ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় প্রথমবার গেরুয়া, সাদা এবং সবুজের সমন্বয়ে তৈরি হল তেরঙ্গা। যাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব পাস করা হয়। তবে এর মধ্যের অংশে ছিল চরকা।
তবে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট গণপরিষদ গেরুয়া, সাদা এবং সবুজের তেরঙ্গাকে স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা হিসাবে গ্রহণ করে। সাদা অংশে চরকার পরিবর্তে আনা হয় অশোক চক্র।
এই তিন রঙ তিন বিশেষত্বকে নির্দেশ করে। গেরুয়া হল শক্তি ও সাহসের প্রতীক। সাদা হল- শান্তি ও সত্যের প্রতীক। সবুজ কৃষিপ্রধান দেশ ভারতের বৃদ্ধির প্রতীক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -