Holi Celebration: দোল পূর্ণিমায় রঙ না খেলাই রীতি, আজ বর্ধমানে আম-আদমির হোলি
পূর্ব বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র ও রাঢ়বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন জায়গা বর্ধমানের দোল উৎসব আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে ৷ এখানে দোল উৎসব হয় দোলপূর্ণিমার পরের দিন ৷ রাজা না থাকলেও শতাব্দী প্রাচীন রাজ-রীতি মেনে এই উৎসব পালন করেন বর্ধমানবাসী ৷ ছবি- কমলকৃষ্ণ দে
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএখানে দেবতাদের হোলি আর আমজনতার দোল একদিনে হয় না ৷ রাজার আমলের এই প্রথা আজও মেনে চলে বর্ধমান ৷ গতকাল, রবিবার রাজ্যবাসী দোল উৎসবে মাতলেও বর্ধমান শহরে আমজনতা রঙের খেলায় মেতেছেন আজ, সোমবার ৷
বর্ধমানের মহারাজা মহাতাব চাঁদের ইচ্ছাতেই গোটা রাজ্যে যে দিন রঙের উৎসব পালন করা হয়, তার পরের দিন অনুষ্ঠিত হয় এই শহরের দোলযাত্রা৷ ১৮০৭ সাল থেকেই এই রীতি চলে আসছে বর্ধমানের বেশ কিছু জায়গায়৷ দোলের পরের দিন রং খেলায় অবশ্য কোনও খামতি থাকে না৷ এ বারেও থাকে নি ৷
এর পিছনে রয়েছে ইতিহাস ৷ বর্ধমানে একসময়ে কোনও অফিস-কাছারি ছিল না, যা ছিল সবটাই রাজাদের৷ রাজকর্মচারী আর রাজার লোকেরা এ সব পরিচালনা করতেন৷ সাধারণ মানুষ সে ভাবে রাজবাড়িতে গিয়ে রংয়ের উৎসবের আনন্দ নিতে পারতেন না৷ ১৮০৭ বা তার কাছাকাছি কোনও সময়ে রাজা মহাতাব চাঁদ বিষয়টি উপলব্ধি করেন৷ তখন তিনিই ঘোষণা করেন, দোল পূর্ণিমার দিন কুলদেবতা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর দোলযাত্রা হবে৷ তার পরের দিন শহরের মানুষের সঙ্গে রাজ কর্মচারীরাও দোলের উৎসবে মেতে উঠবেন৷
গত বছর কোভিড আবহের মধ্যে লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে দোল উৎসব প্রায় বন্ধ ছিল ৷ নমো নমো করেই কোনওমতে হয়েছিল পুজো ৷ এবছর অবশ্য দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা ছিল ৷
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -