সংসারের হাল ধরতে শুরু, আপাতত সোশ্যালে সুপারহিট খড়দহের বি-টেক 'ফুচকাওয়ালা' জ্যোতির্ময়ী
লকডাউনের ধাক্কা আর্থিকভাবে প্রবল প্রভাব ফেলেছে অনেকের জীবনেই। কিন্তু যাবতীয় বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে নতুন উড়ানের খোঁজও কম নেই, যেমনটা খড়দহের জ্যোতির্ময় সাহা। (তথ্য ও ছবি- সমীরণ পাল)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appখড়দহের 'ফুচকাওয়ালা' জ্যোতির্ময়ী এই মুহূর্তে সোশ্যালে সুপারহিট। লোকমুখে প্রচার, ফেসবুক ছাড়িয়ে আপাতত অনলাইন ফুড অ্যাপ ডেলিভারীতেও মিলছে তাদের ফুচকা।
গত বছর প্রথমবার লকডাউনের ধাক্কা অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল দাদার বেতন। প্রবল সমস্যা তৈরি হয় সংসার চালাতে।
জ্যোতির্ময়ী নিজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন, তাই পড়াশোনার খরচ জোগাড়ের দিকেও দেখা দেয় সমস্যা।
এর মাঝেই খড়দহ বাজারে বৃদ্ধ বাবার প্রায় ১০ বছর বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা দোকান বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু জ্যোতির্ময়ী নেন অন্য ভাবনা।
দাদা দেবজ্যোতিকে রাজি করিয়ে বন্ধ দোকান নতুন করে সাজিয়ে তুলে ফুচকা পার্লার তৈরি করার ভাবনা নেন।
ছেলে-মেয়ের যে ভাবনা শুনে বেজায় চটেছিলেন দেবজ্যোতি-জ্যোতির্ময়ীর বাবা, তবে তাঁকে বুঝিয়ে তারা চালু করেন দোকান।
চকোলেট ফুচকা, চিকেন ফুচকা, টক-ঝাল-মিষ্টি ফুচকা থেকে বাংলাদেশি ফুচকার মতো রকমারি ফুচকা নিয়ে হাজির হন তারা।
'ফুচকাওয়ালা'দের রকমারি ফুচকার সম্ভারে অল্পদিনের মধ্যেই তা জনপ্রিয়তা লাভ করে। ছড়িয়ে পড়ে লোকমুখে।
ছেলে-মেয়ের দোকানের প্রচার-প্রসার দেখে জ্যোতির্ময়ী-দেবজ্যোতির বাবা হয়ে ওঠেন দারুণ খুশি। দূর-দূরান্ত থেকে লোকের দোকানে ছুটে আসা লোককে দেখে গর্ব অনুভব করেন তিনি।
চলতি বছরেও ফের বিধি নিষেধ জারি হলেও উল্টে বেড়ে যায় জ্যোতির্ময়ীদের প্রসার ও ব্যবস্থা।
ফেসবুক ও অনলাইন ফুড ডেলিভারী অ্যাপের সাহায্যে আপাতত সোশ্যালেও হিট জ্যোতির্ময়ী-দেবজ্যোতির 'ফুচকাওয়ালা'। (ছবি ও তথ্য- সমীরণ পাল)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -