Language of Jesus Christ: যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় আজও বেঁচে রয়েছে জিশু খ্রিস্টের ভাষা, শুধুমাত্র একটি গ্রামই ভরসা
যুদ্ধ, হানাহানি এবং নাশকতার জন্যই বিশ্ব মানচিত্রে চিহ্নিত সিরিয়া। বিগত কয়েক দশক ধরে যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে। ছবি: ফ্রিপিক
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকারণ হিংসাদীর্ণ সিরিয়ার বুকেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে আজও জিশু খ্রিস্টের ভাষা, আরামেইকে কথা বলেন মানুষজন। ছবি: ফ্রিপিক
সিরিয়ার ওই গ্রামের নাম মালুলা ওই গ্রামের পরিবেশ বর্তমানে মূলত রুক্ষ। দামাস্কাসের সঙ্গে সংযোগ বলতে ভাঙাচোরা একটি রাস্তা। বাসে চেপে, পাহাড় পেরিয়ে যেতে হয়। ছবি: ফ্রিপিক
মালুলা একসময় খ্রিস্টান অধ্যুষিত ছিল। পশ্চিম এশিয়ায় একসময় যে বৈচিত্রের সংস্কৃতি ছিল, সেই অনুযায়ী ওই গ্রামেও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বসবাস ছিল। পরবর্তী কালে ইসলাম আধিপত্য বিস্তার করে। ছবি: ফ্রিপিক
মালুলার আশেপাশের গ্রামগুলিতে অতি অল্পসংখ্যক মানুষের বাস। সেখানকার বাসিন্দারামও আরামেইক ভাষাতেই কথা বলেন। সিরিয়ার একটি বহুভাষী দেশ, তার মধ্যে জিশু খ্রিস্টের ভাষায় কথা বলা মানুষজন আজও রয়েছেন। ছবি: ফ্রিপিক
তবে আরামেইক ভাষায় কথা বলেন যাঁরা, তাঁদের আশঙ্কা, এযাবৎ প্রচলিত থাকলেও, তাঁদের ভাষা বিলুপ্ত হতে চলেছে। একসময় সিরিয়া, তুরস্ক এবং ইরাকেও আরামেইক ভাষার প্রচলন ছিল। কিন্তু ধর্মান্তরণ এবং পশ্চিমি সংস্কৃতির প্রভাবে ভাষাটি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। ছবি: ফ্রিপিক
গত কয়েক দশকে, প্রাণ বাঁচাতে সিরিয়া থেকে বহু খ্রিস্টান মানুষ পালিয়ে গিয়েছেন। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিার অধ্যাপক ইয়োনা সবর জানিয়েছেন, জাবাদিন এবং বাখাতেও আলামেইক ভাষার প্রচলন ছিল। এখন যে গুটিকয়েক পরিবার রয়েছে, তারাই ভাষাটিকে ধরে রেখেছে। ছবি: ফ্রিপিক
দুই সহস্রাব্দ আগে, উত্তর ইজরায়েল এবং দক্ষিণ লেবাননের মাঝামাঝি অবস্থিত গ্যালিলিতে জিশু খ্রিস্ট আলামেইক ভাষাতেই কথা বলতেন বলে মত গবেষকদের। তাঁর শিষ্য এবং অনুগামীরাও ওই ভাষাতেই কথা বলতেন। ছবি: ফ্রিপিক
মালুলার বাসিন্দারা আরামেইক ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যদিও। স্থানীয় গির্জায় প্রাথনায় অংশ নেয় ছোট ছোট মেয়েরা। আরামেইক ভাষাতেই প্রার্থনা করে তারা। আরামেইক ভাষায় পুস্তিকা বিলি থেকে পর্যটকদেরও বিলুপ্তপ্রায় ভাষাটির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। ছবি: ফ্রিপিক
হলিউডের ‘দ্য প্যাশন অফ ক্রাইস্ট’ ছবিতেও আরামেইক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল। স্থানীয়রা সেই ছবি দেখলেও, উপভাষার মিশেলে তা ঠিকঠাক বোধগম্য হয়নি অনেকেরই। বিগত কয়েক শতকে ভাষাটির রূপান্তরও ঘটেছে। শব্দভাণ্ডারে মিশে গিয়েছে সিরিয়ায় ব্যবহৃত আরবি। যদিও মূল ভাষাকে ধরে রাখতে মরিয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ছবি: পিক্সাবে
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -