Thailand Same Sex Marriage: মিলবে সম্পত্তি, সন্তান দত্তকের অধিকার, সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়ে নজির গড়ার পথে এই দেশ
সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে তাইল্যান্ড। দেশের সেনেটের নিম্নকক্ষে পাস হয়ে গেল ‘বিবাহ সাম্য’ বিল। দেশের নাগরিক আইনে সংশোধন ঘটিয়েই কার্যত নয়া বিল পাস করানো হয়েছে। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবুধবার তাইল্যান্ড সেনেটে ‘বিবাহ সাম্য’ বিলটি পাস হয়। ৪০০ সাংসদ ওই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিরোধিতায় ভোট দিনিম্নকক্ষে পাস হওয়ার পর সেনেটের উচ্চকক্ষে পাঠানো হয়েছে বিলটি। আগামী ২ এপ্রিল সেখানে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা রয়েছে। এর পর রাজার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেই, বিলটি আইনে পরিণত হবে। তবে সংশোধন কার্যকর হবে ১২০ দিন পর থেকে।য়েছেন মাত্র ১০ জন সাংসদ। ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকেন পাঁচ জন। ছবি: পিক্সাবে।
নিম্নকক্ষে পাস হওয়ার পর সেনেটের উচ্চকক্ষে পাঠানো হয়েছে বিলটি। আগামী ২ এপ্রিল সেখানে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা রয়েছে। এর পর রাজার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেই, বিলটি আইনে পরিণত হবে। তবে সংশোধন কার্যকর হবে ১২০ দিন পর থেকে। ছবি: পিক্সাবে।
সেনেটের নিম্নকক্ষে যেহেতু বিলটি পাস হয়ে গিয়েছে, উচ্চকক্ষে বিলটি পাস হওয়া নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা হবে না বলে মত সেদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।সেটি আইনে পরিণত হলে তাইল্যান্ডের ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্ব সমকামী যুগলরা রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে পারবেন। ছবি: পিক্সাবে।
শুধু বিয়েতে আইনি সিলমোহর প্রাপ্তিই নয়, আইন কার্যকর হলে সমকামী দম্পতিরা উত্তরাধিকারের অধিকার পাবেন, সন্তান দত্তক নিতে পারবেন, এছাড়াও সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী Srettha Thavisin-এর সরকার বরাবরই সমকামী বিবাহের পক্ষে সওয়াল করে আসছে। সমকামী বিবাহ বৈধ হলে আগামী দিনে LGBTQ বান্ধব দেশ হিসেবে পর্যটকদের কাছে তাইল্যান্ডের জনপ্রিয়তা বাড়বে বলেও আশাবাদী তিনি। ছবি: পিক্সাবে।
দেশের সরকারের বক্তব্য, “এতে নারী এবং পুরুষের অধিকারহরণ হবে না। বরং LGBTQ মানুষদের অধিকারও মর্যাদা পাবে। যে অধিকার হারিয়েছেন তাঁরা, তা ফিরিয়ে দিতে চাই আমরা।” ছবি: পিক্সাবে।
বিবাহ বলতে এতদিন দেশের আইনে নারী এবং পুরুষের বিবাহই স্বীকৃত ছিল। বিবাহের সংজ্ঞা হিসেবে, একজন নারী এবং একজন পুরুষের সম্পর্কে আইনি সিলমোহরকে বোঝানো হতো। নয়া আইনে সেই সংজ্ঞা পাল্টে দুই ব্যক্তির আইনি সম্পর্ক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ‘স্বামী এবং স্ত্রী’র পরিবর্তে ‘বিবাহিত দম্পতি’ শব্দবন্ধ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ছবি: পিক্সাবে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেবে তাইল্যান্ড।এশিয়ার মধ্যে তাইওয়ান এবং নেপালে আগেই সমকামী বিবাহ আইনি স্বীকৃতি লাভ করেছে। ছবি: পিক্সাবে।
সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা দেখা গিয়েছে হংকং এবং ভারতেও। আদালতের নির্দেশ মতো এখনও পর্যন্ত সমকামী সম্পর্ক নিয়ে রূপরেখা তৈরি করতে পারেনি হংকং সরকার।ভারতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র সংসদের। তারা এ নিয়ে কোনও রায় দেবে না। ছবি: পিক্সাবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -