Tonga Tsunami: সমুদ্রে ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাতের জেরে সুনামি, ছাইয়ে ঢাকল আকাশ, কেন এমনটা হল?
১৫ জানুয়ারি আচমকাই বিস্ফোরণ সমুদ্রের একটি দ্বীপে। সমুদ্রের নীচ থেকেই যেন জেগে উঠল এক আস্ত আগ্নেয়গিরি। ভয়ঙ্কর সেই অগ্ন্যুৎপাতের দাপতে স্তম্ভিত বিশ্ব। এমনটাও হয়? ছবিসূত্র- টুইটার/ Sanya Ruggiero
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকীভাবে এমন ঘটনা ঘটে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে উৎসুক মনে। ভূবিজ্ঞান ও সমুদ্রবিজ্ঞানে এই ধরনের আগ্নেয়গিরির কথার উল্লেখ রয়েছে। ইংরেজিতে একে- Submarine Volcano বলা হয়। সমুদ্রের পৃষ্ঠের নীচে অবস্থিত আগ্নেয়গিরি। ছবিসূত্র- টুইটার/ Sanya Ruggiero
কেন হয়? সকলেই জানি যে পৃথিবীর অভ্যন্তরে এখনও গলন্ত লাভায় পরিপূর্ণ। ভূপৃষ্ঠ কিংবা সমুদ্রপৃষ্টের ফাটলে তা অগ্ন্যুতপাতের আকারে নির্গত হয়। এই ধরনের ঘটনা হয় আগ্নেয়গিরিতে ফাটলে কিংবা যদি প্লেটের ফাটল হয় তাহলে। সেক্ষেত্রে ম্যাগমা বেরিয়ে আসে সেই ফাটল দিয়ে। ছবিসূত্র- টুইটার/ Sanya Ruggiero
ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানায়, এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাত এই রিফ্ট জোনের বৈশিষ্ট্য। রিফ্ট জোন, সমুদ্রতল স্প্রেডিং সেন্টার নামেও পরিচিত। যাকে আরেকভাবে ডাইভারজেন্ট প্লেটও বলা হয়।
সাবমেরিন আগ্নেয়গিরিগুলি সাগরের বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাত ঘটলে বেসল্ট নামে একটি শিলা তোইরি হয় যা মহাসাগরীয় পৃষ্টের অন্যতম ভিত।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এক মিলিয়নেরও বেশি সাবমেরিন আগ্নেয়গিরি রয়েছে বিশ্বজুড়েই। এর মধ্যে ৭৫ হাজার আগ্নেয়গিরি সমুদ্রতলের অনেকটা উঁচুতে রয়েছে।
এই ঘটনায় টোঙ্গা নামে দ্বীপটিতে রিখটার স্কেলে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় তৈরি হয় সুনামির। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ছোটো দ্বীপের বহু বাসিন্দার।
সমুদ্র গহ্বরের সেই অগ্ন্যুতপাতের দৃশ্য রীতিমত পরমাণু বিস্ফোরণের মতো। ধোঁওয়ার বেলুনের সেই ছবি উপগ্রহের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এমন বিস্ফোরণ হাজার বছরে একবার ঘটে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -