Uttarkashi Tunnel Rescue: অন্ধকারের মধ্যে ১৭ দিন, একসঙ্গে বেঁধে বেঁধে থাকা, অসম্ভবকে সম্ভব করে বাইরে বেরোলেন ৪১ শ্রমিক
অপেক্ষার দীর্ঘ ৪০০ ঘণ্টা। টানা ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গে বন্দি থাকার পর, অবশেষে উদ্ধার করা হল সকল ৪১ জন শ্রমিককেই। প্রথম ধাপে বের করা হয় ২ জনকে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appধ্বংসস্তূপ টপকে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে তিন মিটার বাকি ছিল যখন, সেই সময়ই সুড়ঙ্গের মধ্যে অ্যাডভান্স লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স, স্ট্রেচার এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার এক এক করে প্রবেশ করে। শ্রমিকদের দেখতে পৌঁছয় চিকিৎসকদের একটি দলও।
আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে যাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা দেওয়া যায় তাই আগে থেকেই গ্রিন করিডর করে রাখা হয়েছিল। শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করে, সেই পথ ধরেই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয় অ্যাম্বুল্যান্স।
মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধে জীবনেরই জয়, মুক্তির আলো দেখলেন ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধার পেয়েই মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলির সৌভিক পাখিরা।
গত ১২ নভেম্বর ভোররাতে নির্মাণকার্য চলাকালীন উত্তরকাশীর ওই সিল্কয়ারা সুড়ঙ্গটি ভেঙে পড়ে। সেই থেকে ভিতরে আটকে ছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। বিদেশ থেকে আনা ড্রিল মেশিন, উদ্ধারকারী দল এনে শুরু হয় উদ্ধারকার্য।
পাহাড়ের উপর থেকে গর্ত খুঁড়েও পৌঁছনোর চেষ্টা করা হয় শ্রমিকদের কাছে। অবশেষে সাফল্য এল 'Rat-hole mining' বিশেষজ্ঞদের হাত ধরে। ধ্বংস্তূপ খুঁড়ে, উদ্ধারকার্যের ১৭তম দিনে শ্রমিকদের বের করে আনার কাজে সাফল্য এল।
'Rat-hole mining' পদ্ধতি উদ্ধারকার্য চালানোর বিশেষ একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছতে একেবারে সঙ্কীর্ণ গর্ত খোঁড়া হয়। সাধারণত কয়লা খনিতে এই পদ্ধতিতে খননকার্য চলে।
সরু গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে প্রবেশ করে, দড়িতে বেঁধে কয়লা উপরে পাঠাতে থাকেন শ্রমিকরা। উত্তরাখণ্ডে শ্রমিকদের উদ্ধার করতেও ওই পদ্ধতিই অবলম্বন করা হয়।
আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পেরে খুশি উদ্ধারকারী দলগুলিও। জীবন বাজি রেখে তাঁরাও নেমেছিলেন এই উত্তরকাশীর টানেলে। নিরন্তর লক্ষ্য ছিল একটাই। শ্রমিকদের সুস্থ শরীরে বের করে আনা।
এদিন সুরঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করে বেরিয়ে এক উদ্ধারকারী বলেন, 'কাল থেকে আমরাও স্নান-খাওয়া বন্ধ করে কেবল কাজ করে গিয়েছি। লক্ষ্য ছিল একটাই, এটাই। সকলকে যে সুস্থ শরীরে বাইরে আনতে পেরেছি এটাই সবচেয়ে স্বস্তির ও আনন্দের।' উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের চেহারায় ছিল লড়াইয়ের ছাপ। দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে ছিল এক স্বস্তির হাসিও।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -