Newest Country in The World: স্বাধীনতা অর্জনের পর দেড় দশকও কাটেনি, পৃথিবীর নবতম দেশ এটি
নিত্যদিন মানচিত্রে নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি ঘটে না। আচমকা নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করলেও, রাতারাতি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায় না কোনও ভূখণ্ড। বর্তমানে পৃথিবীতে মোট দেশের সংখ্যা ১৯৩, যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য। ভ্যাটিক্যান সিটি এবং প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ধরা হয় শুধুমাত্র। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদেশ হিসেবে গন্য হওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে হয় অবশ্যই। সেই নিরিখে পৃথিবীর নবতম দেশ কোনটি জানেন? ছবি: পিক্সাবে।
সর্বশেষ পৃথিবীতে যে ভূখণ্ডটি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে, সেটি আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। ২০১১ সালের ৯ জুলাই স্বাধীনতা ঘোষণা করে দক্ষিণ সুদান। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্যতাপ্রাপ্তির পর তারাই পৃখিবীর নবতম দেশ। ফাইল চিত্র।
দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। খাতায় কলমে লিপিবদ্ধ না থাকলে, আন্তর্জাতিক আইনের বড় ভূমিকা রয়েছে এক্ষেত্রে। ছবি: পিক্সাবে।
১৯৩৩ সালের মন্তেভিডিও কনভেনশন অনুযায়ী, স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার চারটি মাপকাঠি রয়েছে, স্থায়ী জনসংখ্যা, নির্দিষ্ট সীমান্ত, নির্বাচিত সরকার এবং রাজ্য বা প্রদেশগুলির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি। ফাইল চিত্র।
এই চারটি মাপকাঠিতে উতরে গেলে রাষ্ট্রপুঞ্জে আবেদন জানাতে হয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলি সেই নিয়ে মতামত দেয়। এর পরই স্বীকৃতি জোটে বা জোটে না।
দক্ষিণ সুদান আসলে সুদানের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মিশর এবং ব্রিটেনের শাসনের পর, সুদান ১৯৫৬ সালে স্বাধীন হয়। সুদানের জনসংখ্যা ছিল বৈচিত্রপূর্। বিশেষ করে উত্তর এবং দক্ষিণের মানুষের মধ্যে ধর্মবিশ্বাস থেকে জীবনধারণের রীতিনীতি ছিল একেবারে ভিন্ন। ছবি: পিক্সাবে।
উত্তর সুদানে যেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, বহুল ব্যবহৃত ভাষা ছিল আরবি এবং তাঁরা নিজেদের আরব হিসেবেই পরিচিত দিলেন বাসিন্দারা, দক্ষিণের মানুষজন আফ্রিকার পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার পক্ষে ছিলেন। খ্রিস্টধর্ম এবং আফ্রিকার উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বাস করতেন সেখানে। আফ্রিকার বিভিন্ন ভাষা এবং ইংরেজিই তাঁদের কথোপকথনের মাধ্যম হয়ে ওঠে। ফাইল চিত্র।
সুদান স্বাধীন হওয়ার পর প্রশাসনিক কাজকর্মও চলত মূলত উত্তর থেকেই। দক্ষিণের মানুষ তার সঙ্গে একাত্ম বোধ করতেন না। উত্তরের আধিপত্য ঠেকাতেই তাই পৃথক দেশের দাবি উঠতে শুরু করে। সশস্ত্র সংগ্রামও ঘটে বেশ কয়েক দফায়।
এর পর ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে গণভোটের অধিকার পায় সুদানের দক্ষিণের অংশ। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, ৯৯ শতাংশ মানুষই পৃথক দেশ চান। এর পর আন্তর্জাতিক মহলেরও সমর্থন জোগাড় করতে সফল হয় তারা। তাতেই পৃথক স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে দক্ষিণ সুদান।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -