Indonesia Nomad Visa: কর দিতে হবে না এক পয়সা, পাঁচ বছরের জন্য 'যাযাবর ভিসা' দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া
অতিমারিতে ওয়র্ক ফ্রম হোম সংস্কৃতির সঙ্গে কমবেশে সকলেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি আমরা। সেই আবহেই লোভনীয় সুযোগ নিয়ে হাজির ইন্দোনেশিয়া সরকার।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবাড়ি থেকে কাজে প্রথম প্রথম উৎসাহ পেলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি একঘেয়ে হয়ে উঠেছে। সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ না হওয়া, ফোনে-মেসেজে সমন্বয়ের অভাব, মেজাজটাই বিগড়ে দেয়।
কিন্তু চারিপাশে মনোরম দৃশ্য, সবুজের প্রলেপের মধ্যে যদি থাকতেন! ওয়র্ক ফ্রম হোম কি ততটাও একঘেয়ে লাগত! মন বুঝেই তাই নতুন সুযোগ নিয়ে হাজির ইন্দোনেশিয়া সরকার।
নতুন ‘যাযাবর ভিসা’ চালু করছে ইন্দোনেশিয়া সরকার, যাতে অফিস যাওয়ার প্রয়োজন হয় না যাঁদের, তাঁরা গিয়ে বালির মতো দ্বীপে আরাম করে থাকতে পারেন, একই সঙ্গে কাজও চালিয়ে যেতে পারেন।
ওই ভিসার অধীনে পাঁচ বছর পর্যন্ত করছাড় পাবেন সকলে। অর্থাৎ কর না দিয়েই ইন্দোশেনিয়ায় প্রকৃতির কোলে পাঁচ বছর কাটানোর সুযোগ। বালি-সহ দেশের যে কোনও জায়গাতেই থাকা যাবে।
ডিজিটাল মাধ্যমে এই ‘যাযাবর ভিসা’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। বিশ্বের যে কোনও দেশের বাসিন্দারাই এই ভিসার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের আশা, অন্তত ৩৫ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে এই ভিসার আওতায় সাড়া মিলবে। ফ্রিল্যান্স করেন যাঁরা এবং বাড়ি থেকে কাজ করেন, তাঁদের জন্যই এই সুযোগ।
সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমি দেশের মানুষদের কাছে ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সবুজের মাঝে নিজেদের নতুন করে খুঁজে পান তাঁরা। সেই সঙ্গে রয়েছে আধ্যাত্মিকতার যোগও।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের দাবি, ২০২১ সালেই এই ‘যাযাবর ভিসা’ চালুর পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু করোনা সঙ্কট সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই করোনা মিটতেই নতুন করে উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে একটাই শর্ত, যে বা যাঁরা ‘যাযাবর ভিসা’র জন্য আবেদন করবেন, তাঁরা ইন্দোনেশিয়ার কোনও সংস্থার হয়ে কাজ করতে পারবেন না। বাইরের কোনও সংস্থায় কর্মরত হতে হবে তাঁদের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -