Sri Lanka Crisis: দেউলিয়া সরকার, তীব্রতর হয়েছে খাদ্যসঙ্কট, শ্রীলঙ্কার রাস্তায় জনসমুদ্র,পালিয়ে ফিরছেন রাজাপক্ষ
সরকারে রদবদল ঘটিয়ে রোষ সামাল দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছিল বটে। তার পর দু'মাসও কাটল না, ফের ফের গণ বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে জনসমুদ্র উপচে পড়ছে। সনৎ জয়সূর্যর মতো তারকাও তাতে শামিল হয়েছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের সঙ্গে কথা চলছে কলম্বোর। সেখান থেকে অর্থসাহায্য নিয়ে আপাতত খাদ্য-সহ নিত্যপণ্য যাতে আমদানি করা যায়, তার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা সঞ্চিত নেই কোষাগারে।
তার জেরে দিন তিনেক আগে শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। তার পরই ফের ফুঁসছে শ্রীলঙ্কা। গত কয়েক দিন ধরে নতুন করে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছে সেখানে।
তবে শনিবার কার্যত জনসমুদ্র নেমে আসে কলম্বোর রাস্তায়। বাস, ট্রেন,লরিতে চেপে দূর দূর থেকে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজধানীতে এসে পৌঁছন। জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দেন তাঁরা। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষর ইস্তফা দাবি করেন।
সিঁদুরে মেঘ যদিও একদিন আগেই টের পেয়েছিলেন গোতাবায়া। তার জন্য শুক্রবার রাতেই প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছেড়ে কার্যত পালিয়ে যান তিনি। পুলিশের তরফে আদালতকে বিক্ষোভ আটকানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল বটে। কিন্তু দেশের আদালতের তিন বিচারপতিই সেই আর্জি খারিজ করে দেন।
শনিবার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘিরে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যায়, কিন্তু পুলিশেরই অধিকাংশ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন দেশের সেনা কর্তা এবং সৈনিকদের একাংশও।
সকলেরই এক দাবি, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে রাজাপক্ষকে। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের তরফে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। করা হয় লাঠিচার্জও। এমনকি ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাতেও ঠেকানো যায়নি জনসমুদ্রকে।
বিক্ষোভে শামিল হয়েছে ক্রিকেট তারকা জয়সূর্যও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এক জন ব্যর্থ নেতাকে সরাতে, গোটা জীবনে এমন ঐক্য চোখে পড়েনি কখনও। মানুষের মনের কথা আর শোনার দরকার নেই, বড় বড় হরফে সরকারি দেওয়ালের গায়ে লিখে দেওয়া হয়েছে। ভালয় ভালয় সরে পড়া শ্রেয়।’’
শ্রীলঙ্কা প্রদুজন পেরামুনা দলের ১৬ জন সাংসদ গোতাবায়াকে পদত্যাগের অনুরোধ জানিয়েছেন। জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। গোতাবায়া ইস্তফা দিলে তিনি রাষ্ট্রপতি পদ অধিকার করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
গত ৭০ দশকে এমন সঙ্কটের মুখোমুখি হয়নি শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। নেই খাবার, পানীয়, জ্বালানি, এমনকি ওষুধের জোগানও।
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ভাণ্ডারের থেকে সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। সাহায্য চাওয়া হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের কাছেও। বিদেশি মুদ্রার জোগান হিসেবেই ৩০০ কোটি ডলার ঋণ চাইছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -