Greatest Books: বই পড়া এবং পড়ানোর বিকল্প নেই, ইহকালে কিছু উপন্যাস না পড়লেই নয়
স্মার্টফোনের যুগে বইয়ের পাতা ওল্টানোর রেওয়াজ উঠে যেতে বসেছে। কিন্তু বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে যাঁদের, তাঁরা জানেন কী তার মাহাত্ম্য।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতাই বেঁচে থাকতে থাকতে কিছু বই না পড়লেই নয় বলে মনে করেন বইরপ্রেমীরা। আন্তর্জাতিক টাইম ম্যাগাজিন সর্বকালীন সেরা বইয়ের একটি তালিকাও তৈরি করে দেয়, যা না পড়লেই নয়।
অ্যানা ক্যারেনিনা: সেই যুগে রুশ সামন্ততন্ত্র, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মতো বিষয় বেছে নিয়ে, নিপুণ হাতে কাহিনি বুনেছিলেন লিও টলস্টয়। ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় বইটি। গৃহবধূ অ্যানা কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র। সংসার ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে। প্রেম, যন্ত্রণা, পরিবার এবং তৎকালীন রুশ সমাজের রীতি-নীতি, সবকিছুই রয়েছে বইটিতে। নারীর চাওয়া-পাওয়া টলস্টয়ের মতো করে আগে কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারেননি বলে ধরা হয়।
টু কিল আ মকিং বার্ড: একটিমাত্র বই প্রকাশিত হয়েছিল হার্পার লি-র। সেই একটি সৃষ্টিই অমর করে রেখেছে তাঁকে। ১৯৬০ সালে প্রকাশিত বইটিতে আমেরিকার সমাজে বিরাজমান বর্ণবাদ, জাতিবাদকে দেখানো হয়েছে ছোট্ট বালিকার নজর দিয়ে। ১৯৬১ সালে বইটির জন্য পুলিৎজার পুরস্কারও পান লি।
দ্য গ্রেট গ্যাটসবি: এফ স্কট ফিৎজেরাল্ডের লেখা এই বইটি না পড়লেই নয়। এই বই থেকেই ‘আমেরিকান ড্রিম’ শব্দবন্ধটির বহুল ব্যবহার শুরু হয়।
ওয়ান হানড্রেড ইয়ার্স অফ সলিটিউড: গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের লেখা বইটি প্রকাশিত হয়য় ১৯৬৭ সালে। একটি পরিবারের সাত প্রজন্মের উত্থান-পতনের কাহিনি রয়েছে বইটিতে। ১৯৮২ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পান মার্কেজ।
আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া: প্রথম জীবনে বার বার ভারত ভ্রমণ করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই ‘আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া’ বইটি লেখেন ই এম ফস্টার। প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে। এখনও পর্যন্ত ফস্টারের সেরা সৃষ্টি হয়ে রয়েছে বইটি।
ইনভিজিবল ম্যান: রাল্ফ এলিসনের ‘ইনভিজিবল ম্যান’ যুগান্তকারী একটি উপন্যাস। কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান-আমেরিকান পরিচয়কে সামেন রেখে কাহিনি বুনেছেন এলিসন। ১৯৫৩ সালে আমেরিকায় ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড পায় উপন্যাসটি।
ডন কহোটি: স্পেনীয় সাহিত্যের সঙ্গে গোটা বিশ্বের পরিচয় ঘটে মিগুয়েল দি সার্ভান্তের ‘ডন কহোটি’র মাধ্যমে। ১৬১৫ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাসটি। বিশ্বের সেরা সাহিত্যকর্মের মধ্যে আজও নাম রয়েছে এই উপন্যাসের।
বিলাভেড: ১৯৮৭ সালে টোনি মরিসনের লেখা ‘বিলাভেড’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। দাসত্বের শৃঙ্খল কাটিয়ে পালিয়ে বেড়ানো এক সেথো উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র। ১৯৮৮ সালে এই উপন্যাসের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পান টোনি।
দ্য কালার পার্পল: চিঠির আকারে সলেখা উপন্যাস। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় অ্যালিস ওয়াকারের এই অনবদ্য উপন্যাসটি। দক্ষিণ আমেরিকার গৃহযুদ্ধ পরবর্তী সংয়কালকে প্রেক্ষাপটে রেখে কাহিনি বুনেছেন লেখিকা। এই সৃষ্টির জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পান অ্যালিস।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -