International Day of Women in Diplomacy: কূটনৈতিক জগতে ভারতের প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান এই নারীদেরও
আধুনিক বিশ্বে কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উন্নতির সঙ্গেই বিশ্ব-অর্থনীতি এবং বিশ্ব শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কূটনীতির তাৎপর্য অসীম। আর এই কঠিন কাজটি করে থাকেন বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা। মূলত পুরুষশাসিত এই ক্ষেত্রে কিন্তু পিছিয়ে নেই নারীরাও। কিন্তু আগের চেয়ে বাড়লেও এখনও মহিলা কূটনৈতিকের সংখ্যা অনেকটাই কম, যা কখনই কাম্য নয়। এই পরিস্থিতিতে ইউনাইটেড নেশন জেনারেল অ্যাসেম্বলি ২৪ জুন তারিখটিকে International Day of Women in Diplomacy হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভারতের হয়ে বিভিন্ন দেশে, ইউনাইটেড নেশনসের মঞ্চে দৌত্য যাঁরা করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনেক মহিলাও। আজ, জেনে নেওয়া যাত তাঁদেরই কয়েকজনের বিষয়ে।
স্নেহা দুবে: ইউনাইটেড নেশনসে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি। ২০১২ সালের IFS ব্যাচ। UNGA-তে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর নিয়ে যা বলেছিলেন তার যোগ্য জবাব দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়েছিলেন স্নেহা দুবে।
রচিরা কম্বোজ: সম্প্রতি ইউনাইটেড নেশনে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োজিত হয়েছেন রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj)। টিএস তিরুমূর্তির স্থলে জায়গা নেবেন তিনি। ১৯৮৭ সালের IFS ব্যাচ রুচিরা এখন ভুটানে ভারতের দূত হিসেবে কর্মরত।
বিদিশা মৈত্র: ২০০৯ সালের ব্যাচের IFS বিদিশা মৈত্র (Vidisha Maitra)। UN Advisory Committee on Administrative and Budgetary Questions -এ তাঁর কাজের জন্য তিনি সুবিদিত। এর আগে বিদেশমন্ত্রকে আন্ডারসেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। বেস্ট ট্রেনিং অফিসার হিসেবে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত তিনি।
চোকিলা আয়ার: ভারতের প্রথম মহিলা ফরেন সেক্রেটারি চোকিলা আয়ার দার্জিলিংয়ের মেয়ে। ১৯৬৪ সালের ব্যাচের IFS অফিসার ছিলেন তিনি। আয়ারল্যান্ডে ভারতীয় দূতাবাসের দায়িত্ব সামলেছেন।
নিরুপমা রাও: ভারতের দ্বিতীয় মহিলা ফরেন সেক্রেটারি নিরুপমা রাও ১৯৭৩ সালের ব্যাচের IFS অফিসার। আমেরিকা, চিন, শ্রীলঙ্কা কাজ করেছেন। কেরিয়ারের প্রথম দিকে কর্মরত ছিলেন ভিয়েনায়। Ministry of External Affairs-এর মুখপাত্রের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
এনাম গম্ভীর: ভারতের অন্যতম বিখ্যাত মহিলা কূটনীতিক এনাম গম্ভীর (Eenam Gambhir). ইউনাইটেড নেশনসে ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর হিসেবে কর্মরত। UN-এর সিকিউরিটি কাউন্সিল রিফর্ম, কাউন্টার টেরিরিজম (Security Council Reform, Counter terrorism) সংক্রান্ত আলোচনায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ইউনাইটেড নেশনসের সভায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাকিস্তানের মদত নিয়ে তাঁর বক্তব্য অত্যন্ত প্রশংসা পেয়েছিল।
বিজয় লক্ষ্মী পন্ডিত: ভারতের মহিলা কূটনৈতিকের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি বিজয় লক্ষ্মী পন্ডিতের (Vijaya Lakshmi Pandit) কথা না বলা হয়। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর বোন তিনি। ভারতের স্বাধীনতায় টালমাটাল সময় থেকে ভারতের হয়ে বিভিন্ন দেশে ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেনে ভারতীয় দূত হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ইউনাইটেড নেশনসেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ছবি: রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজ থেকে, অন্যান্য ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাপ্ত
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -