Stephen Hawking Birthday: হুইলচেয়ারে বন্দি, ভরসা যান্ত্রিক স্বর! সহজ ভাষায় ব্রহ্মাণ্ড চিনিয়েছেন হকিং
বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন। ঠিক এভাবেই স্মরণ করা হয় তাঁকে। ব্রহ্মাণ্ড তৈরি কীভাবে? কী তার গঠন? কৃষ্ণ গহ্বর কী? এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে দিয়েছেন তিনি। বৈজ্ঞানিক থেকে সাধারণ মানুষ সবার জন্য বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলি সহজ করে তুলতে পারতেন তিনি। আজ সেই থিয়োরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট স্টিফেন হকিং-এর (Stephen Hawking) জন্মদিন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিগ ব্যাং থেকে ব্ল্যাক হোল। রহস্যের উত্তর খুঁজতে বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা তাকিয়ে থেকেছেন স্টিফেন হকিংয়ের দিকেই। কঠিন তত্ত্বের উত্তর সহজ করে বুঝিয়ে দেওয়া এই মহান বিজ্ঞানীর জীবন কিন্তু একেবারেই সহজ ছিল না।
১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডে জন্ম হয় স্টিফেন হকিংয়ের। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী হকিং ফিজিক্স নিয়ে পড়েছিলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কলেজে। তারপরে কেমব্রিজে-- কসমোলজি পড়তে।
২১ বছরে অকস্মাৎ যেন বাজ পড়ল। মোটর নিউরন ডিজিজ ধরা পড়ল হকিংয়ের। এটি মূলত পরিচিত ALS (Amyotrophic lateral sclerosis). চিকিৎসকরা বলেছিলেন আর মাত্র কয়েকটা বছর তাঁর আয়ু। কিন্তু তাঁদের ভুল প্রমাণ করেছিলেন হকিং। ১৯৬৬ সালে PhD- সম্পূর্ণ করেন তিনি। ২০১৭ সালে তাঁর PhD thesis অনলাইনে প্রকাশিত হয়।
রোগ ধরার পর থেকেই চলাফেরার শক্তি হারিয়েছিলেন স্টিফেন হকিং। কিন্তু মস্তিক তো সচল। ফলে থেমে থাকেনি গবেষণার কাজ। হুইলচেয়ারে আটকে পড়লেও দুরন্ত গতিতে চলেছে কাজ। কিন্তু আবার বিপদ এল ১৯৮৫ সালে। একটি আপৎকালীন Tracheotomy-এর কারণে কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেন হকিং।
কেমব্রিজে তৈরি একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে, গালের পেশি ব্যবহার করে যান্ত্রিক স্বরের মাধ্যমে কথা বলতে শুরু করেন হকিং।
রোগের সঙ্গে লড়াই, গবেষণা-এসবের সঙ্গেই ব্যক্তিগত সম্পর্কও এগিয়েছে। ১৯৬৫ সালে বিয়ে করেছিলেন জেন ওয়াইল্ডকে (Jane Wilde)। তিন সন্তান রয়েছে তাঁদের। পরে জেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১৯৯৫ সালে ফের বিয়ে করেন, সেটাও ২০০৬ সালে বিচ্ছেদ হয়।
গ্র্যাজুয়েশনের পরে কেমব্রিজেই রিসার্চ ফেলো এবং তারপরে প্রফেশনাল ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন হকিং। ১৯৭৪ সালে রয়্যাল সোসাইটিতে অন্তর্ভুক্তি হয় তাঁর। তারপরে ১৯৭৯ সালে কেমব্রিজে Lucasian Professor of Mathematics-পদে আসীন হন তিনি। বিশ্বের সবথেকে বিখ্যাত অ্যাকাডেমিক চেয়ার এটি।
তাঁর প্রকাণ্ড কর্মজীবনে ব্রহ্মাণ্ড তৈরি এবং তার চালিকাশক্তি এবং তার নিয়ম নিয়ে বহু কাজ রয়েছে। এর মধ্য়ে সবচেয়ে আলোচিত এবং উল্লেখযোগ্য বিগ ব্যাং থিয়োরি (Big Bang Theory), কৃষ্ণ গহ্বর (Black Hole), স্পেসটাইম (Spacetime).
বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী তাঁর বইয়ের জন্যও বিখ্যাত। তাঁর একাধিক বই বেস্টসেলার হয়েছে। মূলত সাধারণ মানুষের কাছে বিজ্ঞানের দুর্বোধ্য বিষয়গুলি যাতে সহজ হয়ে ওঠে। তার জন্যই কলম ধরেছিলেন তিনি। তাঁর প্রথম বই 'A Brief History of Time' ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। আন্তর্জাতিক ভাবে বেস্টসেলার হয়েছিল সেটি। তারপরে তাঁর একাধিক বই বেরিয়েছে, 'A Briefer History of Time', 'The Universe in a Nutshell'-সহ আরও একাধিক বই, যেগুলি খুবই বিখ্যাত। একাধিক টেলি ডকু, টেলি-সিরিজেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। ২০১৪ সালে হকিংয়ের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০১৪ সালে ফেসবুকে একটি পোস্টও লিখেছিলেন তিনি। আমি বহু ভ্রমণ করেছি, অ্যান্টার্কটিকায়, ইস্টার দ্বীপে গিয়েছি, সাবমেরিনে চড়েছি, জিরো গ্র্যাভিটিও দেখেছি....একদিন আশা করি মহাকাশে যাব'। ২০১৮ সালে মারা যান দুনিয়ার সর্বকালের অন্য়তম সেরা এই থিয়োরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট। সব ছবি: Stephen Hawking-এর ফেসবুক পেজ (@stephenhawking)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -