Ashadha Gupt Navratri: আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রির কথা গোপন কেন রাখা হয়? পালন করেন কারা
চারটির মধ্যে আশ্বিন মাসে হওয়া শারদীয়া নবরাত্রি বা দুর্গাপুজো ও চৈত্র মাসে হওয়া বাসন্তী পুজো সাধারণ সাংসারিক মানুষরা পালন করেন। আর মাঘ ও আষাঢ় মাসে যে নবরাত্রি হয় তাকে গুপ্ত নবরাত্রি বলে মানা হয়। এই নবরাত্রি সাধারণত পালন করেন সাধু,সন্ন্যাসী ও আদ্যাশক্তির একনিষ্ঠ ভক্তরা। গুপ্ত নবরাত্রিতে তাঁরা তন্ত্র মতে দশ মহাবিদ্যার আরাধনায় মাতেন। (ছবি সৌজন্য- এবিপি নিউজ)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএবছর আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রির শুরু হচ্ছে জুলাই মাসের ৬ তারিখ আর শেষ হচ্ছে ১৬ তারিখ। সাধারণত নবরাত্রি ৯ দিনের হলেও এবার চতুর্থী তিথি দু-দিন ধরে পড়ায় গুপ্ত নবরাত্রি পালন হবে ১০ দিন ধরে।(ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
শারদীয়া ও চৈত্র নবরাত্রি প্রকাশ্যে উদযাপিত হলেও আষাঢ় ও মাঘ মাস হওয়া নবরাত্রির পুজো গোপনে করা হয়। কী কী কর্মকাণ্ড হয় তা সাধারণ মানুষের কাছে আড়াল করেই রাখা হয়। সাধু, সন্ন্যাসী ও তন্ত্রের উপাসকরা এই নবরাত্রির সময় পুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যজ্ঞ করেন।(ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, ২০২৪ সালের আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা আসবেন ঘোড়ায় চড়ে। যা অশান্তি, হিংসা, যুদ্ধ ও বিভিন্ন বিপর্যয়ের ইঙ্গিত বহন করে। তাই মনে করা হচ্ছে এবার দেবী ঘোড়ায় চড়ে আসার ফলে গুপ্ত নবরাত্রির পর বিশ্বজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।(ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রিতে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশৈলম পীঠে থাকা বারাহি দেবীর পুজো করেন তন্ত্র উপাসকরা। তাই একে বারাহি নবরাত্রিও বলা হয়। আদি বরাহ স্বামীর শক্তি হিসেবে পরিচিত বারাহি দেবীকে উৎসর্গ করে আষাঢ় শুক্ল নবমীর দিন তাই শ্রী শৈলম শক্তিপীঠে বারাহি হোম করেন বিভিন্ন সাধু ও তন্ত্র উপাসকরা। (ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
ধর্মীয় বিশ্বাস, পুজোতে বারাহি দেবী সন্তুষ্ট হলে জমি ও আদালত সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করেন। পাশাপাশি এই দেবী তুষ্ট হলে জমি, কৃষি ও সম্পত্তি সহ বিভিন্ন জিনিস আশীর্বাদ রূপে দান করেন। স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সমস্যা থেকে সবসময় রক্ষা করেন। নবরাত্রির শেষ দিনে শ্রী শৈলমের শক্তিপীঠে বারাহি হোমও করা হয়। (ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রিতে সাধু, সন্ন্যাসী ও তন্ত্র উপাসকরা সিদ্ধিলাভের জন্য মা আদ্যাশক্তি আরাধনা করেন। মনে করা হয়, আষাঢ় নবরাত্রিতে হোম করা অত্যন্ত মঙ্গলের। এর ফলে শত্রু নির্মূল হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, কর্ম, ব্যবসা ও জীবনের অন্য লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা সফল হয়। জীবন থেকে দূর হয় সব বাধা ও নেতিবাচক শক্তি। (ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
বারাহি দেবীর পুজোর পাশাপাশি আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রিতে অন্য দেব-দেবীরও পুজো করা হয়। তবে এই ধরনের বেশিরভাগ পুজোই সাধারণত শুরু হয় রাতের অন্ধকারে, লোকচক্ষুর আড়ালে।(ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
এই নবরাত্রিতে প্রথমা থেকে সপ্তমী পর্যন্ত চণ্ডী হোম করা হয়। সৌভাগ্যলক্ষ্মী হোম হয় অষ্টমীতে। নবমী তিথিতে রাজা শ্যামলা হোম আর দশমীতে বারাহী হোম। (ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
দুটি গুপ্ত নবরাত্রিতেই সাধারণত তান্ত্রিক উপাচারে পুজো হয়। যা সংসারী মানুষদের দেখা উচিত নয় বলে মনে করা। তাই আষাঢ় ও মাঘ মাসে হওয়া নবরাত্রির পুজো প্রকাশ্যে হয় না। (ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -