Gangasagar Mela : 'সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার' কেন? অন্য তীর্থের থেকে কতটা আলাদা ?
কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। বাকি সব তীর্থে বারবার যাওয়া গেলেও গঙ্গাসাগর তীর্থে একবার পৌঁছনোই বড় ব্যাপার। এই প্রবাদ বিখ্যাত।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appনানা বয়সের নানা মুখ, নানা অভিব্যক্তি৷ পুণ্যলাভের আশায় হাজার হাজার মাইল ছুটে আসা ভক্তকূল, ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী, দেশি-বিদেশি অতিথি। এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে সব মিলে মিশে একাকার।
মকর সংক্রান্তির পূণ্যলগ্নে গঙ্গাসাগর হয়ে ওঠে এক মহামিলন মেলা। কেন? লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভিড় জমান গঙ্গাসাগরে কেনই বা বাংলার এই তীর্থক্ষেত্রের এত মাহাত্ম্য?
হাজার বছর ধরে নিজেদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই মহাতীর্থে আসেন মানুষ। নিজেদের পাপ থেকে মুক্তি পেতে এই তীর্থে আসেন মানুষ । বর্তমানে গঙ্গাসাগর তীর্থের পথ অনেক সুগম হয়েছে। তবে পথ ছিল বিপজ্জনক । ছিল সাগরে নৌকাডুবি হওয়ার ভয়, অন্যদিকে ছিল জলদস্যুর আতঙ্কও।
যুগ যুগ ধরে মকর সংক্রান্তিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই সাগর তীর্থে আসেন। জ্যোতিষ মতে,সূর্য মকর সংক্রান্তিতে মকর রাশিতে প্রবেশ করে ।
বিশ্বাস করা হয়, যে এই তিথিতে গঙ্গাস্নান করলে ১০০টি অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সমান পুণ্য লাভ হয়। তাই এদিন গঙ্গাসাগরে এত মানুষ সমবেত হন।
পুরাণ অনুসারে অযোধ্যার ইক্ষাকু বংশের রাজা সগর। তিনি একবার অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন। অশ্বমেধের ঘোড়া চুরি করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র। তারপর গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমের কাছেই তিনি লুকিয়ে রাখেন ঘোড়াগুলিকে।
অশ্বমেধ যজ্ঞের নিয়ম অনুসারে সেই ঘোড়া খুঁজতে আসে সাগর রাজার ৬০ হাজার পুত্র। কপিল মুনির রোষের মুখে পড়েন তাঁরা। তাঁদের ভষ্ম করে দেন কপিল মুনি
পুরাণ মতে, সগর রাজার মৃত ৬০ হাজার সন্তানকে জীবন ফিরিয়ে দিতে তাঁর নাতি ভগীরথ মর্ত্যলোকে গঙ্গাকে নিয়ে এসেছিলেন। তাই মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা এবং সাগরের সঙ্গমে স্নান করলে অসীম পুণ্যের কথা বর্ণিত হয়েছে পুরাণে।
তাই কপিলমুনির আশ্রম দর্শন ও সাগর স্নান এত গুরুত্বপূর্ণ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -