All Souls' Day:কলকাতা থেকে নাগপুর, মোমবাতির আলোয়-ফুলের গন্ধে পালন All Souls' Day
আজ 'অল সোলস ডে'। খ্রিস্টানদের মতে, যাঁরা পার্থিব জগতের মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছেন, সেই সকল আত্মার জন্য প্রার্থনার দিন আজ। বিশ্বের বহু দেশে প্রত্যেক বছর এই ২ নভেম্বর দিনটিতেই 'অল সোলস ডে' পালনের রীতি রয়েছে। কিন্তু কোথা থেকে শুরু হল এই রীতি?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appখ্রিস্টানদের বিশ্বাস, স্বর্গমুখী হওয়া সত্ত্বেও যে সব আত্মার প্রায়শ্চিত্ত দরকার, আজ সেই আত্মাদের স্মরণ করা ও তাঁদের জন্য প্রার্থনার দিন। বিশ্বের নানা প্রান্তের মতো ভারতেও নানা শহরে দিনটি পালনের ছবি ধরা পড়েছে।
'অল সোলস ডে' উপলক্ষ্যে নাগপুরের এক সমাধিস্থলে এমনই ছবি ধরা পড়ল আজ। খ্রিস্ট ধর্মবিশ্বাসীদের মতে, ৩১ অক্টোবর ছিল হ্যালোউউন দিবস। পর দিন অর্থাৎ ১ নভেম্বর 'অল সেন্টস ডে'।
খ্রিস্টানদের মতে, মৃতদের জন্য প্রার্থনার কথা প্রাচীন ধর্মগ্রন্থেই লেখা রয়েছে। তবে এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে একজন রোমান ক্যাথলিকের সন্তের কথা উঠে আসে।
কে তিনি? খ্রিস্টানদের বড় অংশের বিশ্বাস, আত্মাদের জন্য প্রার্থনার দিকটিতে জোর দিয়েছিলেন 'সেন্ট ওডিলো অফ ক্লুনি'। সেই ধারা ধরে রেখেই নদিয়ার এই সমাধিস্থালে এদিন মোমবাতির আলো জ্বালেন খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীরা।
একাংশের ধারণা, ৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সেন্ট ওডিলো'স বে-তে এই রীতি চালু হয়েছিল। সেই ধারা বজায় রেখেই কলকাতায় এক সমাধিস্থলে মোমবাতির আলোয় আত্মাদের জন্য প্রার্থনা করলেন কেউ কেউ।
আজ ভারত-সহ বিশ্বের নানা অংশে দিনটি রীতি মেনে পালন করা হয়। তবে ইতিহাস জানাচ্ছে, একেবারে গোড়ার দিকে খুব ছোট এলাকাজুড়ে প্রার্থনার রেওয়াজ শুরু হয়েছিল।
দ্রুত ফ্রান্সের আশপাশের ডায়োসিসে এই রীতি ছড়িয়ে পড়ে।
চতুর্দশ শতকে রোম এই রীতি গ্রহণ করলে তামাম পশ্চিমি ক্রিস্টান দুনিয়ার জন্য সর্বজনীন ছুটির দিন হয়ে ওঠে এটি। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, এই দিনটিতে প্রয়াতদের জন্য প্রার্থনা করলে তাঁদের আত্মা শান্তি পায়। সে জন্য মোমবাতির আলো জ্বালানো, দুঃস্থের জন্য খাবারের ব্যবস্থা, বিশেষ প্রার্থনা এবং সমাধিক্ষেত্রে ফুল রাখার রীতি রয়েছে। সেই রীতির ছবিই ধরা পড়ল ভারতের নানা শহরে। ব্যতিক্রম হল না হায়দরাবাদও।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -