Ma Sarada Vani: 'আমি মা থাকতে ভয় কী', মা সারদার এমন সহজ কথাগুলোই চরম ঝড়ঝাপটায় ভরসা জোগায়, পড়ুন
আদরিনী মাগো, আজ সকালে খুব ভোরে গীর্জায় গিয়েছিলাম সারার জন্য প্রার্থনা করতে। সেখানে সবাই মেরীর কথা ভাবছিল। হঠাৎ আমার মনে পড়ে গেল তোমার কথা।' সঙ্ঘজননী মা সারদাকে লিখছেন তাঁর আদরের খুকি। তিনি আইরিশ দুহিতা। তিনি ভিন্নধর্মজাতিকা। তবু তাঁর কাছে গেলে ছোট্ট শিশুটি হয়ে যান তীক্ষ্ম বুদ্ধসম্পন্না, অসীম সাহসের অধিকারী স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা নিবেদিতা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআজ থেকে এতগুলো বছর আগে, যখন সমাজ আরও ভেদভাবে ক্লিষ্ট তখনও মা সারদা ছিলেন বিশ্বজননী, জগজ্জননী। সকলকে আপন করে নিতে তাঁর সময় লাগত না। কারণ তিনি নিজেই বলেছিলেন, ভয় কী, বাবা, আমি রয়েছি , আমি মা থাকতে ভয় কী।
'আমার ছেলে কাঁদলে আমাকেই তো ধুলোকাদা ঝেড়ে কোলে তুলে নিতে হবে।' বলেছিলেন মা সারদা। মা তিনি। কেউই তাঁর পর নয়। বরং সন্তান ভুল করলে, তার ভুল ত্রুটি শুধরে আপন করে নেওয়াই মা-সারদার মহিমা।
স্বামী সারদানন্দ, স্বামী বিবেকানন্দকেও যেমন নিজের ছেলের আদর দিয়েছেন, তেমন মায়ের আশিসটুকু থেকে বঞ্চিত করেননি ডাকাত ছেলে আমজাদকে। তবে 'ধুলোকাদা ঝেড়ে'। তাই তাঁর বলা কথটুকু সার্থক - “মনে ভাববে, আর কেউ না থাক, আমার একজন মা আছেন।”
মা নিজের জীবন দিয়েই প্রমান করেছেন তাঁর বাণী। 'যদি শান্তি চাও, মা , কারও দোষ দেখো না। দোষ দেখবে নিজের । জগতকে আপনার করে নিতে শেখ , কেউ পর নয়, মা জগৎ তোমার'
মায়ের কাছে সব সন্তানই ছিলেন সমান। তাই তিনি বলতেন, সকলের ওপর সমান ভালবাসা হয় কী করে জানো? যাকে ভালবাসবে তার কাছে প্রতিদান কিছু চাইবে না। তবেই সকলের ওপর সমান ভালবাসা হয়।
সঙ্ঘজননী বলেছিলেন, 'ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে পারে কজনে? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সব্বাই, কিন্তু কি করে যে তাকে ভাল করতে হবে, তা বলতে পারে কজনে?
সৎ-অসৎ কাউকে ফেরাননি। যে একবার ‘মা’ বলে আশ্রয় চেয়েছে, তাকেই কোলে তুলে নিয়েছেন তিনি। বলেছিলেন, “আমি সত্যিকারের মা; গুরুপত্নী নয়, পাতানো মা নয়, কথার কথা মা নয় – সত্য জননী।” ছবি : বেলুড় মঠের ওয়েব সাইট থেকে
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -