Maha Shivratri 2024: এমন অদ্ভুত-দর্শন শিবমূর্তি দেখা যায় না, শিবরাত্রিতে পূজিত হচ্ছে মহা ধুমধামে
বাগদেবী সরস্বতীর হাতে দেখা যায় বীণা। কিন্তু হুগলির সিঙ্গুরের বড়া গ্রামে রয়েছে এক আশ্চর্য শিবমূর্তি। শিবের হাতে রয়েছে বীণা! শিবের হাতে এই বাদ্যযন্ত্র এল কীভাবে?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবড়া গ্রামের তেলিয়াড়মোড়ের পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থিত প্রাচীন শিবমন্দির। মন্দিরের মূল আকর্ষণ এর ভেতরে অধিষ্ঠিত শিবমূর্তি।
শিবের হাতে এই বীণাকে বলা হয় রুদ্রবীণা। পুরাণ মতে, দেবী পার্বতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে এই বীণা তৈরি করেছিলেন স্বয়ং মহাদেব।
আবার কেউ কেউ বলে থাকেন, রুদ্রবীণা আসলে রাক্ষসরাজ রাবণের তৈরি। রাবণ ছিল শিবের উপাসক। আরাধ্য দেবতাকে খুশি করতে রুদ্রবীণা তৈরি করেছিল লঙ্কেশ্বর।
হাতে রুদ্রবীণা সহ শিবের মূর্তি বড় একটা দেখা যায় না। তাই বড়া তেলিয়াড়মোড়ের এই মূর্তি বেশ বিরল।
কথিত আছে, প্রায় একশো বছর আগে বড়া পুলিশ ফাঁড়ির এক আধিকারিককে মন্দির প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন ভগবান শিব। তার পরদিনই সংলগ্ন তেলিয়াড়পুকুরে জেলেদের জালে উঠে এসেছিল এই শিবমূর্তি।
তারপরই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার এক সময়কার জমিদার নিবারণচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের দেওয়া জমিতে তৈরি হয়েছিল ছোট একটি মন্দির। সেই মন্দিরেই প্রতিষ্ঠিত হয় শিবমূর্তি।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় বড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব নিয়ে আসেন সুক মহম্মদ। তাঁর উদ্যোগেই নতুন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুসলিম পুলিশ অফিসারের শিবমন্দির সংস্কারের উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হন এলাকার সমস্ত মানুষ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক দৃষ্টান্ত তৈরি হয় বড়ায়।
শিবরাত্রিতে প্রত্যেক বছর সমস্ত রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে উৎসবে সামিল হন সাধারণ মানুষ। প্রচুর মানুষের সমাগম হয় বড়া তেলিয়াড়মোড়ের শিবমন্দিরে। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে শুক্র ও শনিবার পুজো ও ভোগ বিতরণের পাশাপাশি আয়োজিত হয়েছে নানা অনুষ্ঠান। ছবি ও তথ্য - সন্দীপ সরকার
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -