Swami Vivekananda : নিবেদিতাকে চলে যাওয়ার সঙ্কেত দিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, শেষ সময়ে কী করেছিলেন স্বামীজী?
শেষের দিন ঘনিয়ে আসার আগে স্বামীজী তাঁর কাছের মানুষদের বারবার সংকেত দিয়েছিলেন। নিবেদিতাকে একবার স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন তাঁর চলে যাওয়ার দিন সমাগত । ১৯০২ সালে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিন স্বামীজীর একটা কথা শুনে চমকে উঠেছিলেন নিবেদিতা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসেটা ছিল মার্চ মাস। আর ১৯০২ সালের ৪ জুলাই দেহত্যাগ করেন স্বামীজী। নানারকম অসুখ শরীরে দানা বেঁধেছিল। কিন্তু কাউকেই কখনও বুঝতে দেননি স্বামী বিবেকানন্দ। মহাপ্রয়াণের দু-দিন আগেই শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল শিষ্যা নিবেদিতার সঙ্গে।
যেদিন স্বামীজী চলে যান সেদিন রাত ৯ টার সামান্য পরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন স্বামীজি। সেদিন সকাল থেকে তিনি যেন ছিলেন পরম আনন্দে। মঠের সাধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, রসিকতা করেছেন, খাওয়া দাওয়া করেছেন ।
সারা দিন ছিলেন অন্যদিনের মতোই কর্মব্যস্ত। বরাবর ভোজম রসিক স্বামীজি। জানা যায়, সেদিন গঙ্গা থেকে ইলিশও কেনেন স্বামীজী। মধ্যাহ্নভোজে খাওয়া-দাওয়াও করেন আনন্দ করে।
তার ২ দিন আগের কথা। ২ জুলাই। সেদিন জিগ্যেস করছিলেন বিজ্ঞানের কোনো একটি বিষয় তাঁর স্কুলে পড়াবেন কি না। তিনি সেদিন বলেছিলেন, 'এসব ব্যাপার আমি আর আলোচনা করতে পারি না। আমি মৃত্যুর দিকে চলেছি।' জাগতিক ব্যাপার থেকে যেন তাঁর মন সরে গিয়েছে।
সেদিন স্বামীজীর মধ্যে ছিল না কোনও বিমর্ষ ভাব। ছিল না ভাবগম্ভীর মুখ। সেদিন নিবেদিতার প্রশ্নের কোনও উত্তর স্বামীজী দেননি। শুধু ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁকে খাওয়ানোর জন্য। খাওয়াতে বড় ভআলবাসতেন স্বামীজী।
নিজে পরিবেশন করলেন শিষ্যাকে। কাঁঠালের বীজসিদ্ধ, আলুসিদ্ধ, সাদা ভাত এবং বরফ দিয়ে ঠাণ্ডা করা দুধ পরিবেশন করলেন। তারপর নিজের হাতে জল ঢেলে দিলেন । মুছিয়ে দিলেন তোয়ালে দিয়ে ।
অবাক হয়ে শিষ্যা নিবেদিতা বললেন,'স্বামীজী, এসব আমারই আপনার জন্য করা উচিত।'স্বামীজী মনে করালেন, যীশুখ্রীষ্টের কথা। তিনিও তাঁর শিষ্যদের পা ধুইয়ে দেন মৃত্যুর আগে।' নিবেদিতা চমকে উঠেছিলেন, বলেও ফেলেছিলেন 'সে তো শেষ সময়ে।'
এর পর ৪ জুলাই। সন্ধ্যারতির ঘণ্টা বাজার পর নিজের ঘরেই চলে যান বিবেকানন্দ। ধ্যানে বসেন ।ঘণ্টা খানেক পর এক ব্রহ্মচারীকে ডেকে পাখার হাওয়া করতে বললেন। বললেন জানলা খুলে দিতে।
হঠাৎ যেন কেঁদে উঠলেন। নড়ে উঠল তাঁর ডান হাত। রাত নটার কিছু পরে গভীর নিঃশ্বাস ফেললেন তিনি। তার পর ছেড়ে চলে গেলেন জাগতিক শরীরটা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -