Swami Vivekananda Vani: নারী নিজের ভাগ্য নিজে নিয়ন্ত্রণ করবে, এই স্বপ্নই বরাবর দেখে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ, পড়ুন তাঁর বাণী

নারীশক্তির উন্নতি নিয়ে আজীবন ভেবে এসেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বিশ্বাস করতেন, দেশে নারীদের অবস্থার উন্নতি না হলে কল্যাণের কোনও সুযোগ নেই। তাই তো আইরিশ-দুহিতা মার্গারেটকে তিনি ভারতবর্ষের নারীদের উন্নতিকল্পে নিবেদিত হওয়ার দীক্ষা দিয়েছিলেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App
স্বামী বিবেকানন্দের বিশ্বাস ছিল, একটি পাখির পক্ষে যেমন একটি ডানায় ভর করে উড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তেমনই দেশের উন্নতি করতে গেলে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অবস্থার উন্নতিও প্রয়োজন।

'কোনো পুরুষ নারীর উপর হুকুম চালাইবে না, কোনো নারীও পুরুষের উপর হুকুম চালাইবে না। প্রত্যেকেই স্বাধীন।'
'মেয়েদের পূজা করেই সব জাত বড় হয়েছে। যে-দেশে, যে-জাতে মেয়েদের পূজা নেই, সে দেশ, সে জাত কখনো বড় হতে পারে নি, কস্মিকালে পারবেও না।'
স্বামীজী বলতেন, 'আমি পুরুষগণকে যাহা বলিয়া থাকি, রমণীগণকেও ঠিক তাহাই বলিব। ভারত এবং ভারতীয় ধর্মে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা স্থাপন কর, তেজস্বিনী হও, আশায় বুক বাঁধ, ভারতে জন্ম বলিয়া লজ্জিত না হইয়া গৌরব অনুভব কর...'
'...আর স্মরণ রাখিও-আমাদের অপরাপর জাতির নিকট হইতে কিছু লইতে হইবে বটে, কিন্তু জগতের অন্যান্য জাতির অপেক্ষা আমাদের সহস্রগুণে দিবার আছে।'
'পুরুষ নারীর জন্য যাহা করিয়া দিতে পারে, তাহা অপেক্ষা নারী অনেক ভালভাবে নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করিবে। পুরুষেরা মেয়েদের ভাগ্য গঠনের ভার গ্রহণ করাতেই নারী জাতির যত কিছু অনিষ্ট হইয়াছে। ' এভাবেই মেয়েদের স্বনির্ভর, আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ হওয়ার পরামর্শ দিতেন তিনি।
'(নারীদের) অনেক সমস্যা আছে-সমস্যাগুলিও বড় গুরুতর। কিন্তু এমন একটিও সমস্যা নেই, 'শিক্ষা' এই মন্ত্রবলে যার সমাধান না হতে পারে।'
তিনি চাইতেন ভারতবর্ষের মেয়েরা ভারতীয় আদর্শকে সঙ্গী করেই উন্নতির পথে এগিয়ে যাক। আর সেই কাজটার ভারই তিনি দিয়েছিলেন নিবেদিতাকে। তিনি মনে করতেন, 'আমাদের দেশের মেয়েরা তেমন শিক্ষিত নয় বটে, কিন্তু তাহারা অনেক বেশি পবিত্র। নারীর কাছে নিজ স্বামী ছাড়া অন্য সব পুরুষই সন্তান, প্রত্যেক পুরুষের নিকট নিজ স্ত্রী ব্যতীত অপর সকল নারীই মাতৃসদৃশ মনে হওয়া উচিত।' তথ্যসূত্র : 'জীবন গঠনে স্বামীজীর বাণী'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -