Bhoot Chaturdashi: ভূত চতুর্দশীতে কেন জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ? উপকার কী
অনেকে মনে করেন ভূতদের সন্তুষ্ট করার জন্য বা বাড়ির আশপাশ থেকে তাড়ানোর জন্য জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ। কারও মতে নেতিবাচক শক্তিকে দূর করার জন্য বাড়ির চারিদিকে জ্বালানো হয় প্রদীপ।(ছবি সৌজন্য-পিক্সাবে)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকেউ কেউ আবার বলেন, কালীপুজোর আগের দিন সন্ধ্যায় পিতৃপক্ষের ও মাতৃপক্ষের পূর্বপুরুষরা আসেন মর্ত্যলোকে। তাঁদের সন্তুষ্ট করার জন্য জ্বালানো হয় ওই প্রদীপগুলো।
কিন্তু, অন্য কথা বলছেন সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুশারী। তাঁর মতে, ভূত মানে এখানে বোঝানো হয়েছে মানব শরীর থেকে আরম্ভ করে সমস্ত জগত যাদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে সেই ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরূৎ ও ব্যোম-এই পঞ্চভূতকেই। তাদের সম্মান জানাতেই প্রচলিত হয় ভূত চতুর্দশীতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি।(ছবি সৌজন্য-পিক্সাবে)
ক্ষিতি অর্থাৎ পৃথিবী, অপ মানে জল, তেজ মানে আগুন, মরূৎ অর্থাৎ বায়ু এবং ব্যোম অর্থাৎ আকাশ। এই পাঁচটি উপাদানকে সম্মান জানিয়ে জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ।(ছবি সৌজন্য-পিক্সাবে)
পাশাপাশি জয়ন্ত কুশারী একথাও বলেন যে পুরাণে ১৪টি ভুবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার সাতটি স্বর্গ ও সাতটি পাতাল। মাটির ওপরে থাকা সাতটি স্বর্গ হল ভূঃ, ভুবঃ, স্বঃ, জনঃ, মহঃ, তপঃ ও সত্য। অন্যদিকে মাটির নিচে থাকা সপ্তলোক হল অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, মহাতল, রসাতল এবং পাতাল।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
জয়ন্তবাবু বলেন, পুরাণে বর্ণিত ১৪টি লোকের বাসিন্দাদের সম্মান জানাতেও কালীপুজোর আগের দিন সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
ভূত চতুর্দশীতে মানব শরীরে থাকা ৯টি দ্বার বা দরজা এবং পঞ্চভূতকে সম্মান জানাতেও ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা চালু হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করেন সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুশারী।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
ভারত তথা বিশ্বের অন্যপ্রান্তে বাঙালি নয় এরকম সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষরাও আবার ভূত চতুর্দশীর দিনটিকে পালন করেন নরক চতুর্দশী হিসেবে। তাঁদের মতে, ওই দিন রাজা বলি বা নরকাসুর তার সঙ্গে অসংখ্য ভূত-প্রেত নিয়ে মর্ত্যে আসে পুজো নিতে। তাদের তুষ্ট করতে বা বাড়িতে প্রবেশ যাতে না করতে পারে তা নিশ্চিত করতেই জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
অনেকে আবার মনে করেন ভূত চতুর্দশীর রাতে ১৪ জন প্রেতকে অনুচর হিসেবে নিয়ে এসে মর্ত্যে অশুভ শক্তির বিনাশ করেন মা চামুণ্ডা। তাঁদের তুষ্ট করতেই প্রচলিত হয়েছে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।(ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -