Transparent Solar Panels: জানলার কাচ বসালেই বিনামূল্যে বিদ্যুৎ! কার্বনমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার পথে আরও একধাপ
জানলায় কাচ বসালে, বিনামূল্যে জুটে যাবে বিদ্যুৎও। এক ঢিলে দুই পাখি মারারই সমান। আজ বললেই হয়ত হাতে এসে যাবে না, কিন্তু আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই অসম্ভব, সম্ভব হতে পারে। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবাড়ির জানলায় কাচ বসানোর চল রয়েছে গ্রাম থেকে শহরে। কিন্তু সেই কাচই যদি বদলে দেওয়া হয় সৌর প্যানেলে! তবে নীলের উপর সাদার ছক কাটা থাকবে না, জানলার কাচের মতোই পরিষ্কার, স্বচ্ছ হবে সেই সৌর প্যানেল। ছবি: পিক্সাবে।
শুনতে অসম্ভব মনে হলেও, আসলে এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন গবেষকরা। কার্বনমুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলতে আগামী দিনে এই আবিষ্কার কাজে লাগতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ছবি: পিক্সাবে।
সৌর বিদ্যুৎনির্ভর পৃথিবী গড়ে তোলার কাজে এই আবিষ্কার পাথেয় হতে পারে বলে আশা অনেকেরই। কিন্তু এই স্বচ্ছ সৌর প্যানেল আসলে কী? ছবি: পিক্সাবে।
ব্যাখায় গবেষকরা জানিয়েছেন, কাচের মধ্যে সূর্যের আলো যখন প্রবেশ করে, সে যে কাচই হোক, আর যে কোণেই আলো পড়ুক না কেন, তা থেকে আলোকশক্তি শুষে নেওয়ার প্রযুক্তি হাতে এসে গিয়েছে। ছবি: পিক্সাবে।
এক্ষেত্রে স্বচ্ছ ওই সৌর প্যানেলকে জানলার কাচ হিসেবে ব্যবহার করলে, তার মধ্যে যখন সূর্যের আলো প্রবেশ করবে, তার আলোকশক্তি- অতিবেগুনি রশ্মি, অবলোহিত তরঙ্গদৈর্ঘ্য শুষে নেবে ওই বিশেষ ধরনের কাচ, যাকে বিদ্যুৎ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ছবি: পিক্সাবে।
এই প্রযুক্তিকে ‘Photovoltaic Glass’ নামে অভিহিত করছেন গবেষকরা। ২০১৪ সালে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা প্রথম স্বচ্ছ সোলার কনসিট্রেটর আবিষ্কার করেন, যা যে কোনও কাচকে Photovoltaic (ফোটোভলটাইক)Cell-এ পরিণত করতে পারে। ছবি: পিক্সাবে।
এর পর, ২০২০ সালে আমেরিকা এবং ইউরোপের গবেষকরা ১০০ শতাংশ স্বচ্ছ, সৌর কাচের আবিষ্কার করেন। তাঁদের মতে, পৃথিবীর আয়ু দীর্ঘ করতে, জ্বালানির উপর নির্ভরশীল না থেকে, সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কার্বন মুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে এই স্বচ্ছ সৌর প্যানেলই ভরসা হতে পারে। ছবি: পিক্সাবে।
গবেষকদের মতে, বর্তমানে শহর ফুঁড়ে যে ভআবে বহুতল গজিয়ে উঠছে, আলো-বাতাস পেতে জানলায় কাচের ব্যবহারও বেড়েছে। শুধু জানলাই কেন, টেলিভিশনের স্ক্রিন থেকে হাতে ধরা মোবাইল ফোন, সর্বত্রই রয়েছে কাচ। তাই সূর্যালোক এবং কাচ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে, পৃথিবী লাভবানই হবে বলে মত গবেষকদের। ছবি: পিক্সাবে।
তবে শুধুমাত্র খাতায়-কলমে লিখে নয়, বাস্তবে এই স্বচ্ছ সৌর প্যানেলকে জানলা হিসেবে ব্যবহার করাও শুরু হয়েছে। কোপেনহাগেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এই স্বচ্ছ সৌর প্যানেল বসানো রয়েছে। ওই স্বচ্ছ সৌর প্যানেল থেকে বছরে ২০০ MWh বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা এক ঘণ্টার জন্য ব্যবহৃত ১০ লক্ষ ওয়াট বিদ্যুতের সমতুল্য।-ফাইল চিত্র।
তবে এই সৌর প্যানেল যত বেশি স্বচ্ছ হবে, তত কম এর কার্যকারিতা। তাই একে আরও উপযুক্ত করে তোলার লক্ষ্যে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। তাই এর সার্বিক ব্যবহারে কিছু বছর সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। -ফাইল চিত্র।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -