Antarctica Volcanoes: আন্টার্কটিকায় বরফের নীচে শতাধিক আগ্নেয়গিরি, কী বিপদ অপেক্ষা করছে?
যেদিকে চোখ যায় শুধুই বরফ। মানুষের আনাগোনা নেই, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ছাড়া নেই কোনও উপদ্রব। আন্টার্কটিকা নিয়ে এমনই ধারণা মানুষের। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু আন্টার্কটিকার বরফের নীচে আসলে অন্য এক দুনিয়া লুকিয়ে রয়েছে বলে জানালেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন আন্টার্কটিকা আসলে পৃথিবীর বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি অঞ্চল। ছবি: পিক্সাবে।
২০১৭ সালে এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় Geological Survey জার্নালে, তাতে বলা হয়, আন্টার্কটিকায় বরফের চাদরের নীচে কমপক্ষে ১৩৮টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ছবি: পিক্সাবে।
পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত আন্টার্কটিকায় কি তাহলে যে কোনও মুহূর্তে অগ্ন্যৎপাত ঘটতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর মোটেই সহজ নয় বলে মত বিজ্ঞানীদের। ছবি: পিক্সাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আন্টার্কটিকায় বরফের চাদরের নীচে যে আগ্নেয়গিরি রয়েছে, সেগুলির বয়স তুলনামূলক কম। সেগুলি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি কি না, এখনও পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারেননি তাঁরা। ছবি: পিক্সাবে।
তবে সেখানে দু’টি আগ্নেয়গিরিকে নির্দিষ্ট করে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। একটি আগ্নেয়গিরি Deception Island-এ অবস্থিত। ওই দ্বীপটিকে ঘোড়ার খুরের মত দেখতে। ছবি: পিক্সাবে।
দ্বিতীয় আগ্নেয়গিরিটি Mount Erebus নামে পরিচিত। এই পর্বতটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা ১২ হাজার ৪৪৮ ফুট, যা দক্ষিণের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হিসেবে গন্য হয়। Erebus আন্টার্কটিকায় McMurdo গবেষণাকেন্দ্রের কাছে অবস্থিত। ১৯৭২ সাল থেকে অগ্ন্যুপাৎ ঘটে চলেছে। ছবি: NASA.
মূলত Erebus থেকে গ্যাস, ধোঁয়া বেরোয়। কখনও কখনও ছিটকে বেরিয়ে আসে পাথর, যেগুলিকে ‘Rock Bomb’ বলেন বিজ্ঞানীরা। তবে যে কারণে এই আগ্নেয়গিরিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হল, এর একটি শৃঙ্গের উপর লাভার হ্রদ রয়েছে। ছবি: NASA.
জানা গিয়েছে, পর্বতশৃঙ্গের উপর এই ধরনের লাভার হ্রদ সচরাচর চোখে পড়ে না। ওই হ্রদে গলিত পদার্থ রয়েছে। আন্টার্কটিকায় ওই গলিত লাভা কীভাবে তরল অবস্থায় রয়েছে, এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ছবি: NASA.
অন্য দিকে, Deception Island-এ যে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, ১৯৭০ সালে শেষ বার তা থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। সেই থেকে এখনও একবারও অগ্ন্যুৎপাত ঘটেনি। এই মুহূর্তে ওই দ্বীপটিকে ‘সবুজ দ্বীপ’ও বলা হয়। কারণ অদূর ভবিষ্যতে সেখানে অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা নেই বলে মত বিজ্ঞানীদের। ছবি: NASA.
তবে দু’টি মাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থাকলেও, আন্টার্কটিকায় আগ্নেয়গিরি থেকে ছিদ্রপথে লাভার উগদীরণ, বাষ্প এবং গ্যাসের নির্গমন লেগেই থাকে। লাগাতার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা, কিন্তু এত আগ্নেয়গিরির মধ্যে কখন কোনটি সক্রিয় হয়ে উঠবে, তা বোঝা মুশকিল। ছবি: NASA.
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -