Science News: লোভে পড়ে খেয়ে ফেললেও হয়নি হজম, নক্ষত্রের অবশিষ্ট উগরে দিল কৃষ্ণগহ্বর
অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে বা হজম না হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রাণীরা। ওষুধে কাজ না হলে, বমি করে, অতিরিক্ত খাবার উগরে দিয়ে স্বস্তি পেতে চায়। মহাজগতেও তেমনই কর্মকাণ্ড ঘটে চলেছে বেল এবার হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজানা গেল, নাগালের মধ্যে এসে পড়া নক্ষত্রকে গিলে ফেলে কৃষ্ণগহ্বর। কিন্তু একেবারে হজম করে ফেলে না। বহু বছর পর তার ধ্বংসাবশেষ উগরেও দেয়। বছরের পর বছর কৃষ্ণগহ্বরের কর্মকাণ্ডে নজরদারি চালিয়ে এমনই তথ্য সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোনও নক্ষত্র নাগালের মধ্যে চলে এলে, তাকেও গিলে নেয় কৃষ্ণগহ্বর। ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে কৃষ্ণগহ্বরের উদরে ঢুকে যায় অভাগা ওই নক্ষত্র। বিস্ফোরণে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগাড় হয় অতি দূর থেকেও।
এর ফলে, ধ্বংসপ্রাপ্ত নক্ষত্রের টুকরো টাকরা এদিক ওদিক ছড়িয়ে যায়, ভারী উপাদান ঢুকে যায় কৃষ্ণগহ্বরের উদরে। কিছু অংশ আবার চাকতির আকারে, ভাসমান অবস্থায় যায়, যা ধীরে ধীরে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে তলিয়ে যেতে থাকে।
ওই অবস্থাতেই রেডিও তরঙ্গের নাগাল পান বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সাধারণত নক্ষত্র ভক্ষণকারী কৃষ্ণগহ্বরের কর্মকাণ্ড কয়েক মাসই পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সম্প্রতি একটি কৃষ্ণগহ্বরের উপর বেশ কয়েকশো দিন নজরদারি চালানো হয়। তাতেই বেনজির দৃশ্য ধরা পড়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নক্ষত্রকে গিলে নেওয়ার পর, ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই পরে আবার তার ধ্বংসাবশেষ উগরে দেয় কৃষ্ণগহ্বর। সেই সময়ও ফের রেডিও তরঙ্গ নির্গত হয়।
হার্ভার্ড অ্যান্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক ইভেত সেন্দেজ জানিয়েছেন, এভাবে নক্ষত্র বক্ষণের পর, তার ধ্বংসাবশেষ আবার বাইরে এনে ফেলে দেওয়াকে খাবার উগরে দেওয়ার সঙ্গেই তুলনা করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ বেশ সময় নিয়ে চলে গোটা প্রক্রিয়া।
ঠিক কী কারণে নক্ষত্রের নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষ উগরে দেয় কৃষ্ণগহ্বর, এখনও পর্যন্ত তার কার্যকারণ খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। তবে একেবারে পাকস্থলী থেকে তা উঠে আসে না, বরং অভিকর্ষ শক্তি যেখানে শক্তিশালী, সেই গলার কাছে বা তার কিছুটা ভিতরেই ভাসমান অবস্থায় থাকে। পরে বেরিয়ে আসে বলে মত তাঁদের।
নাগালের মধ্যে থাকে সবকিছুকে গিলে নিলেও, আদতে কৃষ্ণগহ্বরগুলি গুছিয়ে খেতে জানে না বলে মত বিজ্ঞানীদের। ঠিক কী অবস্থায় তার গলা থেকে নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষ বেরিয়ে আসে, তাও অজানা এখনও।
রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমেই কৃষ্ণগহ্বরের এই কর্মকাণ্ডের হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আচমকা কৃষ্ণগহ্বর অস্থির হয়ে ওঠে, ওঠাপড়া করে রেডিও তরঙ্গ। আগামী দিনে আরও দীর্ঘ সময় ধরে কৃষ্ণগহ্বরের উপর নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -