Zhangjiajie National Forest Park: ‘অবতার’ ছবির Pandora বলে ভ্রম জাগে, শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, আউটডোর লিফ্টের জন্যও পরিচিত এই পার্ক
একঝলকে ‘অবতার’ ছবি বলে ভ্রম জাগে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এমনই চিনের ঝাংজাজিয়ে ন্যাশনাল ফরেস্ট পার্কের। যে Wulingyuan এলাকা জুড়ে এর বিস্তৃতি, সেটি UNESCO ওয়র্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে পেয়েছে স্বীকৃতিও। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপ্রতি বছর দলে দলে লোকজন ভিড় করেন সেখানে। তবে আরও যে কারণে বার বার ঝাংজাজিয়ে ন্যাশনাল ফরেস্ট পার্কের কথা উঠে আসে, তা হল, পাহাড়ের গা বেয়ে ওঠা বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতার আউটডোর এলিভেটরের জন্য। ছবি: Zhangjiajie Guide.
পরিবেশের ক্ষতি না করে, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ওই এলিভেটর বা লিফ্ট বানানো হয়েছে, যা মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ১ হাজার ৭০ ফুট উপরে, পাহাড়ের উপর নিয়ে যেতে পারে মানুষকে। ছবি: পিক্সাবে।
সেকেন্ডে ৫ মিটার গতিতে উপরে ওঠে ওই লিফ্ট। প্রতি ঘণ্টায় ৭ হাজার মানুষকে উপরে নিয়ে যাওয়া এবং নীচে নামাতে সক্ষম সেটি। চিনের মুদ্রা, ১ ইউয়ান ভাড়া সাকুল্যে। ছবি: Zhangjiajie Guide.
ঝাংজাজিয়ের ওই লিফ্ট ‘ঝাংজাজিয়ে বেলং আউটডোর এলিভেটর’ নামে পরিচিত। বিশ্বের দ্রুততম এবং সর্বাধিক ওজন বহনকারী লিফ্ট সেটি। ‘International Top Ten Artificial Landscape Project’-এর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের সেরা ১১টি ক্রিয়েটিভ এলিভেটরের মধ্যেও অন্যতম। ছবি: Zhangjiajie Guide.
লিফ্টটির উপর এবং নীচের অংশকে ডিভাইডার দিয়ে ভাগ করা হয়েছে। গোটাটাই তৈরি হয়েছে ইস্পাত দিয়ে। জার্মানির Janzhoff AufZuge Gmbh সংস্থা সেটির যন্ত্রাংশ তৈরি করেছে। ছবি: পিক্সাবে।
লিফ্টটি তৈরির কাজ শুরু হয় ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ব্যবহার শুরু হয় এপ্রিল, ২০০২ সালে। ২০২২ সাল থেকে ব্যবহার শুরু পর্যটকদের। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনও একটিও দুর্ঘটনা ঘটেনি। যে পাহাড়ের গায়ে লিফ্টটি রয়েছে, এমনিতে হেঁটে সেটির উপর উঠতে দু’ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু ওই লিফ্ট চূড়ায় পৌঁছে দেয় মাত্র ৬৬ সেকেন্ডে। ছবি: পিক্সাবে।
ওই লিফ্টের পাশাপাশি ঝাংজাজিয়ে ন্যাশনাল ফরেস্ট পার্কে পর্যটকদের জন্য কেবল কারের ব্যবস্থাও রয়েছে, যাকে রোপওয়েও বলা হয়। পর্যটকদের মধ্যে দুই পরিষেবাই অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু এবং ভিন্ন ভাবে সক্ষমদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুবিধা হয়। ছবি: পিক্সাবে।
শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই ওই লিফ্ট ৭০ লক্ষ পর্যটকের পরিবহণে ব্যবহৃত হয়। লিফ্টে উঠতে ভয় পান যাঁরা, তাঁরাও সেটির ছবি তুলে নিয়ে যান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অত্যাশ্চর্য নির্মাণের সাক্ষী হতেও বহু মানুষ পৌঁছন সেখানে। ছবি: পিক্সাবে।
ঝাংজাজিয়ে ন্যাশনাল ফরেস্ট পার্ক ৪ হাজার ৮১০ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সেখানে ৩ হাজারের বেশি পাথরের স্তম্ভ রয়েছে। হলিউডের ‘অবতার’ ছবিতে ক্লাপনিক ‘Pandora’ গ্রহের যে রূপ তুলে ধরা হয়েছিল, তার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে এই পার্কের। ছবি: পিক্সাবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -