Black Hole: নক্ষত্রকে ছিন্নবিছিন্ন করল কৃষ্ণগহ্বর, মহাকাশে অব্যাহত ব্ল্যাক হোলের ধ্বংসলীলা
মহাকাশে যা থাকে, তার বিলীন হয় কৃষ্ণগহ্বরেই। মহাকাশবিজ্ঞানে এই ব্ল্যাক হোলকে বলা হয় 'ধ্বংসাত্মক রাক্ষস'। এঁদের মাধ্যাকর্ষণ বল এতটাই প্রবল হয় সমস্ত কিছু এই কৃষ্ণগহ্বরেই শেষ হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান জানায় প্রতিটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি করে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল থাকে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকোনও নক্ষত্র এর ধারে কাছে আসলেই মুহূর্তে ছিন্নবিছিন্ন হয় তারা। যদিও কোনও নক্ষত্রই এর কাছাকাছি দিয়েও যাতায়াত করে, তাহলে প্রচন্ড মাধ্যাকর্ষণ বলে কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে তাকে টেনে নিয়ে মৃত্যু ঘটায় এটি।
কোনও নক্ষত্রর ক্ষেত্রে এই ঘটনাকে 'Tidal Disruption Event' বলা হয়। এই ব্ল্যাক হোলটি রয়েছে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩৭ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে।
ইনফ্রারেড লাইটের মাধ্যমে এই ছবি ধরা দেয়। এমআইটি-র পোস্ট ডক করা ক্রিস্টোস প্যানাজিওতু এবং তাঁর দল এই ছবিটি প্রকাশ করেছে।
তাঁরা দেখতে পায় ওই গ্যালাক্সিতে হঠাৎই একটি ফ্ল্যাশ। আচমকা আলো রীতিমত চোখ ঝলসে যাওয়ার মতোই। পরবর্তীতে দেখা যায় ছিন্নবিছিন্ন হয়ে গিয়েছে একটি নক্ষত্র।
এই ব্ল্যাক হোল (Black Hole) এমন এক মহাজাগতিক বস্তু, যার মধ্যে দিয়ে আলো যেতে পারে না। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার করেছেন। তবে আশঙ্কার বিষয় হল, এই ব্ল্যাক হোল সৌরজগতের বিলিয়ন খানেক সূর্যকে গ্রাস করে নিতে পারে।
এখনও পর্যন্ত যতগুলি ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার হয়েছে, তার মধ্যে এটি সব থেকে বড়। বিজ্ঞানীরা জানান, ব্ল্যাক হোল সূর্যের ভরের থেকে প্রায় ৩০ বিলিয়ন গুণ। সহজ কথায়, এই ব্ল্যাক হোলটি ৩০ বিলিয়ন সূর্যের সমতুল্য নক্ষত্রের সমান। বর্তমান সময় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যা যা আবিষ্কার করেছেন, তার মধ্যে ব্ল্যাক হোল সচেয়ে বড় আবিষ্কার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -