Perseus Cloud: তারা তৈরির কারখানা! তার ভিতরেই প্রাণ সৃষ্টির মশলা? চমক গবেষণায়
পৃথিবী থেকে বহুদূরে। মেঘের ভিতরে লুকনো রয়েছে প্রাণের স্পন্দনের প্রাণভোমরা। এমনই চমকপ্রদ তথ্য় দিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণের সৃষ্টির জন্য অবশ্যপ্রয়োজনীয় কিছু রাসায়নিক এবং অনুর (Prr biological Molecules) প্রয়োজন। সেগুলিই নাকি দেখা গিয়েছে পার্সিয়াস ক্লাউডে (Perseus Cloud)। পৃথিবী থেকে দূরত্ব? ১০০০ আলোকবর্ষ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In AppPerseus Molecular Cloud-এর একটি অংশে এমন খোঁজ মিলেছে। জায়গাটির নাম IC348, নক্ষত্র তৈরি হয় ওই এলাকা থেকে, সেখানেই মিলেছে প্রাণ সৃষ্টির জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক অনুর খোঁজ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ধুলো ও গ্যাসের তৈরি একটি মেঘ এই পার্সিয়াস মলিকিউলার ক্লাউড। সূর্যের থেকেও যার ভর অন্তত ১০ হাজার গুণ বেশি।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো জটিল অনু তৈরির জন্য যে অনু প্রয়োজন হয়, সেগুলির খোঁজ মিলেছে। এই অ্যামিনো অ্যাসিডই প্রাচীন মাইক্রো অর্গানিজমস-এর জেনেটিক কোড তৈরি করেছে। যার মাধ্য়মে পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে।
পার্সিয়াস ক্লাউডে যে যে নক্ষত্র রয়েছে তার খুবই নবীন, সবে জন্মেছে অথবা এখনও তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। তাদের অনেকেরই Protoplanetary Disks রয়েছে যা আদতে গ্রহের একেবারে গোড়ার দিকের অবস্থা বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে The Monthly Notices of the Royal Astronomical Society- নামের জার্নালে।
গবেষণা পত্রের মূল লেখক স্পেনের Instituto de Astrofísica de Canarias-এর অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট Susan Iglesias-Groth একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, 'এই এলাকা আদতে জৈব রসায়নের আতুরঘর বলে মনে হয়েছে। যা যা মিলেছে যা হামেশাই প্রাণ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় অনুর মূল উপকরণ হিসেবে কাজ করে।'
IC348- এলাকার ভিতরে হাইড্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, অ্যামোনিয়া-র মতো আরও একাধিক সাধারণ মলিকিউলের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কার্বন-বেসড মলিকিউলের খোঁজও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যা জটিল হাইড্রোকার্বন ও প্রিবায়োটিক মলিকিউল তৈরি করতে পারে।
আর এই পুরো এলাকাই সবেমাত্র গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। তাহলে কী যত সময় যাবে ততই এখানে প্রাণের সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে?
এই গবেষণা যে তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে তা নাসার Spitzer Space Telescope, বর্তমানে যা ব্যবহার করা হয় না। এবার এই এলাকায় চোখ রাখবে আরও আধুনিক জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। তাহলে কি আরও চমকে দেওয়া তথ্য মিলবে? আশায় বুক বাঁধছেন বিজ্ঞানীরা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -