Exit Poll 2024
(Source: Poll of Polls)
Tiangong Space Station: পৃথিবীর বাইরেও টান পড়বে না পেটে! মহাকাশে ফসল ফলিয়ে নজির চিনের
পৃথিবীর বাইরে এবার ফসল ফলিয়ে নজির চিনের। তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে ফসল ফলিয়েছে তারা। সেই নিয়ে শোরগোল বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appচায়না ন্যাশনাল স্পেস স্টেশন জানিয়েছে, পৃথিবীর কক্ষপথে নিজেদের স্পেস স্টেশনে পেঁয়াজ, লেটুস এবং টমেটো ফলিয়েছে তারা। জুন মাসে লেটুসের বীজ বোনা হয়েছিল। অগাস্ট মাসে বীজ বোনা হয় চেরি টমেটো এবং সবুজ পেঁয়াজের। তা থেকেই ফসল ফলেছে।
চিনা বিজ্ঞানী ইয়াং রেনজি জানিয়েছেন, আগামী দিনে দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ কার্যকরী হতে পারে। পৃথিবীর বাইরে মহাকাশচারীদের খাদ্যের জোগানেও যেমন ঘাটতি দেখা দেবে না, তেমনই অক্সিজেনের জোগানও মিলবে।
চিনের নিজস্ব স্পেস স্টেশন, তিয়াংগং পৃথিবীর চারিদিকে চক্কর কেটে চলেছে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সঙ্গে এর অবস্থান সমান্তরাল, ৩৪০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়।
চাইনিজ ম্যানড স্পেস এজেন্সি (CMSA) তিয়াংগং স্পেস স্টেশনটির নির্মাতা, বাংলায় তর্জমা করলে অর্থ হয় ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’। পৃথিবীর কক্ষপথের নীচের অংশে অবস্থান করছে সেটি।
মোট তিনটি মডিউল নিয়ে, ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তিয়াংগং স্পেস স্টেশনটি গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথম মডিউল তিয়ানহে, ২০২২ সালের ২৪ জুলাই দ্বিতীয় মডিউল ওয়েনতিয়ান এবং ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর তৃতীয় মডিউল মেংতিয়ানটি পাঠানো হয়।
২০২১ সালের ১৬ জুন প্রথম বার চিনা নভোশ্চররা স্পেস স্টেশন শেংঝৌতে পদার্পণ করেন। সেই সময় শুধুমাত্র তিয়ানহে মডিউলটি পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করছিল। সেখানে ৯০ দিন কাটান চিনা নভোশ্চরেরা।
CMSA-কে কোনও সময়ই খালি রাখার পক্ষপাতী নয় চিন। কমপক্ষে তিন জন নভোশ্চারীকে, কম করে একদশক করে সেখানে রাখার পক্ষে তারা। সেখানে লাগাতার গবেষণা চালাচ্ছে চিন এবং অন্য দেশগুলিও।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনর অন্তর্ভুক্ত নয় চিন। মূলত আমেরিকার আপত্তিতেই ওই প্রকল্পে তারা যোগদান করতে পারেনি। কারণ আমেরিকার আশঙ্কা, পিপলস লিবারেশন আর্মির তরফে সেখানে ‘বিপজ্জনক’ গবেষণা চালানো হতে পারে।
২০১১ সালে আমেরিকার কংগ্রেস আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে চিনের যোগদান নিষিদ্ধ করে। অনুমোদন ছাড়া আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-ও কোনও ভাবে চিনা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তাই যোগদান করেনি চিন। NASA-র সঙ্গে কাজ করার কোনও অভিপ্রায়ও নেই তাদের। তাই মহাকাশ গবেষণায় নিজেদের আলাদা স্পেস স্টেশন গড়ে তুলেছে তারা।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের মতো আয়তনে অতটাও বড় নয় চিনের স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যেখানে ১৬টি মডিউল রয়েছে, চিনের স্পেস স্টেশনে তিনটি মডিউল রয়েছে। ৫৪ ফুট দীর্ঘ তিয়ানহে মডিউলেই ডকিং হাব গড়ে তোলা হয়েছে। এবার সেখানেই অসাধ্য সাধন করল তারা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -