Black Hole: খামোকাই কুখ্যাতি, নাকি সত্যি সত্যি গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড গিলে নিতে পারে কৃষ্ণগহ্বর!
দূর থেকে কালো চাকতির মতো দেখতে লাগলেও, আসলে অন্ধকার সুড়ঙ্গের মতো আকার। নাগালের মধ্যে যা পায়, তা-ই গিলে খায়। কৃষ্ণগহ্বরকে ঘিরে তাই কৌতূহলের শেষ নেই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমহাশূন্যে এই কৃষ্ণগহ্বরের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিই সবচেয়ে বেশি। এতটাই শক্তিশালী টান যে, গ্রহ, নক্ষত্র তো বটেই, বৃহদাকার কৃষ্ণগহ্বর গিলে খেতে পারে তুলনামূলক ছোট কৃষ্ণগহ্বরকেও।
মহাকাশ গবেষণায় তাই বরাবরই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে কৃষ্ণগহ্বর। কিন্তু কৃষ্ণগহ্বর চাইলে কি গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডকে গিলে খেতে পারে! কল্পকথায় এমন গালগল্প শোনা গেলেও, বাস্তবে তা সম্ভব নয়। কেন, কী বৃত্তান্ত, কোথায় খামতি, তার খোলসা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দাবি, গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড তো দূর, একটি গোটা ছায়াপথও হজম করার ক্ষমতা নেই কৃষ্ণগহ্বরের।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখন যেগুলি কৃষ্ণগহ্বর, একসময় সেগুলি বৃহদাকার নক্ষত্র ছিল। পরস্পরের উপর ভেঙে পড়ে, এই মুহূর্তে একেবারে নিরন্ধ্র হয়ে উঠেছে। এতটাই নিগূঢ় যে তা ভেদ করতে পারে না আলোও।
কৃষ্ণগহ্বর চাইলে গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডকে গিলে খেতে পারে বলে যদিও ধারণা রয়েছে অনেকেরই। তাঁদের মতে কৃষ্ণগহ্বর আসলে ভ্যাকিউমের মতো কাজ করে। সামনের সবকিছুকে গিলে খায়। বাস্তবে আসলে তা ঘটে না।
ইউনিভার্সিটি অফ রোড আইল্যান্ডের কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে কাজ করা পদার্থবিদ গৌরব খন্নার মতে, খুব কাছ এসে পড়ে যে সমস্ত বস্তু, সেগুলিকেই গিলে খায় কৃষ্ণগহ্বর। যে সমস্ত বস্তু তাদের দিগন্তে প্রবেশ করে, শুধুমাত্র সেগুলিকেই গ্রাস করতে পারে।
তবে কৃষ্ণগহ্বরের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব পড়ে গ্রহ-নক্ষত্র সকলের উপরই। ছায়াপথের একেবারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থান হয় কৃষ্ণগহ্বরের। এই কৃষ্ণগহ্বরের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবেই গ্রহ-নক্ষত্ররা সচল বলে মনে করা হয়। তাই বলে সকলকে গিলে খায় না মোটেই।
ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি অ্যাস্ট্রনমির অধ্যাপক পল ডিলানি উদাহরণস্বরূপ সূর্যকে তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে হয়ত কোনও মিরাকল ঘটল এবং সূর্য রূপান্তরিত হল কৃষ্ণগহ্বরে। এখন সূর্যের যতটা ভর, ততটাই থাকল। তার জেরে আমাদের গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে কোনও পরিবর্তন ঘটবে না। একই কক্ষপথে থাকবে পৃথিবী।
এমন ঘটলে চারিদিক নিকষ অন্ধকারে ঢেকে যাবে, সব কিছু শীতলতম অবস্থায় পৌঁছে যাবে, নিঃশেষ হয়ে যাবে সবকিছু। কিন্তু সূর্যের থেকে পৃথিবীর যা দূরত্ব, তাতে সূর্য কৃষ্ণগহ্বরে পরিবর্তিত হলেও, তার টান অনুভব করবে না পৃথিবী।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -