Mars Water Map: পৃথিবীর দোসর বলা যেত, কী ছিল, কী হয়েছে মঙ্গল, মানচিত্রেই বোঝা যায় ফারাক
কোনও এক কালে জলের অস্তিত্ব থাকলেও, বর্তমানে ধূ ধূ করছে লালগ্রহ। মরচে ধরা লোহার মতো রং তার পরিচিতিও হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু এককালে মোটেও এমন দেখতে ছিল না মঙ্গলগ্রহ। লাল, নীল, সবুজ রংয়ের খেলা ছিল তার বুকেও।
প্রযুক্তির দৌলতে মঙ্গলের সেই রূপই সামনে আনতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু জলের অস্তিত্বই নয়, একসময় থনিজেও মঙ্গল সমৃদ্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আজ থেকে ৩৫০ কোটি বছর আগে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল ছিল অত্যন্ত পুরু। এখনকার থেকে তাপমাত্রাও ছিল অনেক কম। মাটির বুক চিরে বয়ে যেত জলের ধারা।
মঙ্গলের উত্তরে ছিল আস্ত কয়েকশো মিটার গভীর, আস্ত একটি মহাসাগর। সৌরঝড়ের প্রকোপে সেই জলের ভাণ্ডার উবে যায় বলে মত বিজ্ঞানীদের।
তারই কিছু অবশিষ্টাংশ বর্তমানে চোখে পড়ে মঙ্গলের মেরু অঞ্চলে। মঙ্গলের মাটির নীচে বরফের আস্তরণ হিসেবে বর্তমানে অবস্থান করছে ওই জল।
একসময় চাঁদ এবং বুধের মতো ধূসর বর্ণও ধারণ করে মঙ্গল। তখনও থার্সিস বা অলিম্পাসের মতো আগ্নেয়গিরি এবং ভ্যালেস মারিনারিসের মতো উপত্যকা গড়ে ওঠেনি। মাটিতে জমা আয়রনে জং ধরা শুরু হয়নি তখনও পর্যন্ত।
পৃথিবীর মতো প্রাণধারণের উপযোগী গ্রহ থেকে মঙ্গল বর্তমান অবস্থায় পৌঁছল কী করে, তা নির্ধারণে, প্রযুক্তির সাহায্যে মঙ্গলের আগের মানচিত্র তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গলের ভূপ্রকৃতি জটিল বলে মত বিজ্ঞানীদের একাংশের। তাঁদের দাবি, পৃথিবীতে সাধারণত জল এবং খনিজের মধ্যে বিক্রিয়া থেকেই কাদা তৈরি হয়। তা থেকে অন্য খনিজ উৎপন্ন হয় আবার। জল এবং আয়রন বা ম্যাগনেসিয়ামের মধ্যে বিক্রিয়া ঘটলে জল শুকিয়ে লবণ পড়ে থাকে। কিন্তু মঙ্গলের বুকে এমন লবণও রয়েছে, যা কাদার ঢের আগেই তৈরি হয়।
শুধু তাই নয়, মঙ্গলের বুকে জলের অস্তিত্ব দীর্ঘকালীন ছিল নাকি ক্ষণস্থায়ী, উবে গিয়ে ফের আবির্ভাব ঘটে কিনা, তা জানতেও চলছে গবেষণা। মঙ্গলকে নিরীক্ষণ করতে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি যে Mars Express মহাকাশযান ব্যবহার করে, তাতে বসানো OMEGA যন্ত্রই মঙ্গলের ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে বিশদ তথ্য জোগাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -