Space Science: লালগ্রহে রোদ ঝলমলে সকাল, মায়াবি বিকেলের দুর্লভ মুহূর্তও, পোস্টকার্ড পেল পৃথিবী
ধূ ধূ করছে চারিদিক। যতদূর চোখ যায়, ধুলো, বালি, প্রস্তরখণ্ড ছাড়া কিচ্ছুটি চোখে পড়ে না। কিন্তু সৌরজগতের নিয়ম মেনে প্রতিদিন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হয় সেখানেও। মঙ্গলের মাটিতে সকাল এবং পড়ন্ত বিকেলের সেই মুহূর্তই এবার ক্যামেরাবন্দি হল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র কিউরিওসিটি রোভার এই গুরুদায়িত্ব পালন করেছে। ধুলো, বালি, পাথরের উপর দাঁড়িয়েই মঙ্গলের সকাল এবং বিকেলের ছবি পাঠিয়েছে।
মঙ্গলের বুকে দীর্ঘ দিন ‘মার্কার ব্যান্ড ভ্যালি’তে কাটিয়েছে কিউরিওসিটি রোভার। এপ্রিল মাসে সফ্টওয়্যার আপডেটও হয়েছে তার। তার পর ওই উপত্যকা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।
কিন্তু ‘মার্কার ব্যান্ড ভ্যালি’ ছাড়ার আগে শেষ বার সেখান থেকে দিগন্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছে কিউরিওসিটি রোভার। তার মধ্যে একটি মঙ্গলের বুকে সকাল কেমন হয়, তা তুলে ধরেছে। অন্যটি তোলা পড়ন্ত বিকেলে।
কিউরিওসিটি রোভারের তোলা ওই ছবি এসে পৌঁছেছে পৃথিবীতে। তাতে ধুলো-পাথরে ঢাকা মঙ্গলের মনোরম রূপই ফুটে উঠেছে। পৃথিবীর উদ্দেশে সেটি কিউরিওসিটি রোভারের পাঠানো ‘পোস্টকার্ড’ হিসেবেই গন্য করছেন বিজ্ঞানীরা।
২০১২ সাল থেকে ‘মাউন্ট শার্প’-এর পাদদেশে অবস্থান করছিল। ওই পাহাড় আসলে মঙ্গলের গেল ক্রেটার থেকে ৫ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত। এবার যে ‘মার্কার ব্যান্ড ভ্যালি’ থেকে ছবি তোলা হয়েছে, সেখানে একটি সালফেটে পরিপূর্ণ জায়গার সন্ধান মিলেছে।একসময় সেখানে হ্রদ ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
নাসা জানিয়েছে, গত ৮ এপ্রিল সকাল ৯টা বেজে ২০ মিনিটে একটি ছবি তোলা হয়। ওই দিন দুপুর ৩টে বেজে ৪০ মিনিটে তোলা হয় দ্বিতীয় ছবিটি। দু’টি ছবিকে পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে দিলে আকর্ষণীয় দৃশ্যপট তৈরি হয়, যা এককালে ব্যবহৃত পোস্টকার্ডে দেখা যেত।
এর আগে, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসেও এমনই পোস্টকার্ড-সুলভ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছিল কিউরিওসিটি রোভার। সেটি তোলা হয়েছিল ‘মাউন্ট শার্প’-এর পাদদেশ থেকে। তাতে ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্যপট ধরা পড়েছিল।
ছবিতে ‘বলিভার’ এবং ‘ডিপডেল’ নামের দুই পাহাড়়ও দেখা যাচ্ছে। ওই দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে যাত্রা করেই ‘মার্কার ব্যান্ড ভ্যালি’ উপত্যকায় পৌঁছয় কিউরিওসিটি রোভার। যে সময় ছবি তোলা হয়েছে, মঙ্গলে শীত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -