New Viruses: বিজ্ঞানীদের কাছেও একেবারে নতুন, টুথব্রাশ এবং শাওয়ার হেডে ৬০০-র বেশি ভাইরাসের খোঁজ মিলল
করোনার পর সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। বাসে-ট্রেনে, অফিসে, বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর থাকে। কিন্তু সত্যিই কি ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস পুরোপুরি এড়াতে পারছি আমরা?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা। রোজ ব্যবহৃত টুথব্রাশ এবং শাওয়ার হেডে ৬০০-র বেশি ভাইরাসের খোঁজ পেলেন তাঁরা, যার মধ্যে অধিকাংশই অচেনা। ওই সমস্ত ভাইরাসের উপর আ্যান্টি বায়োটিকও কাজ করে না বলে জানা গিয়েছে।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। ৯২টি শাওয়ার হেড এবং ৩৪টি টুথব্রাশের নমুনা পরীক্ষা করে ৬০০-র বেশি ভাইরাসের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা।
রোজ যে টুথব্রাশ এবং শাওয়ার হেড ব্যবহার করি আমরা, তা ভাইরাসে পরিপূর্ণ ভাবলেই শিউরে ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এতে সাধারণ মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রোজ ব্যবহৃত টুথব্রাশ এবং শাওয়ার হেডের নমুনা পরীক্ষা করে যে ৬০০-র বেশি ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে, সেগুলিকে ব্যাকটিরিওফেজেস বা ফেজেস বলা হয়। এই ভাইরাস অন্য ব্যাকটিরিয়ার কোষকে সংক্রমিত করে। মানুষের শরীরে থাবা বসায় না।
এই ভাইরাসগুলি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী বলেও জানা গিয়েছে। এই ভাইরাসগুলিকে ব্যবহার করে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে সচেষ্ট বিজ্ঞানীরা, যাতে আগামীতে বিপজ্জনক ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণ রোখা আরও সহজ হয়।
Frontiers in Microbiomes জার্নালে গত ৯ অক্টোবর এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। ফেজ-থেরাপির ক্ষেত্রে আগামী দিনে এই গবেষণা আরও সহায়ক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণাপত্রের সঙ্গে যুক্ত এরিকা হার্টম্যান জানিয়েছেন, এত সংখ্যক অচেনা ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া অভিনব বিষয়। এমন অনেক ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে, যা বিজ্ঞানীদের কাছে একেবারে নতুন। পৃথিবীর জীববৈচিত্র প্রতিনিয়ত অবাক করে দেয় বলেও জানান তিনি।
এর আগে, একটি রিপোর্টে বিজ্ঞানীরা জানান, পৃথিবীতে প্রায় ১ লক্ষ কোটি জীবাণু রয়েছে,যার মধ্যে ৯৯.৯ শতাংশ এখনও আবিষ্কৃতই হয়নি। কিন্তু টুথব্রাশ এবং শাওয়ার হেডে এত সংখ্যক ভাইরাসের খোঁজ মেলায় সেই সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
১ লক্ষ কোটির চেয়ে ঢের বেশি জীবাণু পৃথিবীতে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। এর সিকিভাগও আমাদের গোচরে রয়েছে কি না, উঠছে প্রশ্ন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -