Science News: অনাহারে নয়, দিব্যি খেয়েপরে থাকতে পারেন মানুষ, মঙ্গলের মাটিতেও হতে পারে চাষবাস!
কাঁটাতারের বেড়া, পার্থিব জটিলতা হয়ত পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মানুষকে। কিন্তু খাদ্যাভ্যাস এক অদৃশ্য সুতোয় বেঁধে রেখেছে গোটা বিশ্বকে। কারণ পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, সর্বত্রই চাল না হলে চলে না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরান্নার প্রক্রিয়ায় রকমফের রয়েছে বটে। কিন্তু যে খাবারের মেনুতে কোনও না কোনও ভাবে চাল ব্যবহৃত হয়ই। বর্তমান দিনে কৃষিকাজের অবস্থা যদিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। অর্থনৈতিক দিক থেকে তো বটেই, জলবায়ুও চাষবাসে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কিন্তু এ সবের সমাধান ঘটাতে পারে মঙ্গলগ্রহ, দাবি বিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে, মঙ্গলের মাটি যে উপাদানে তৈরি, তাতে ধানের চাষ করা যেতেই পারে। যদিও একটু কাঠখড় পোড়াতে হবে।
সম্প্রতি লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স কনফারেন্সে এমনই দাবি করেন গ্রহ বিজ্ঞানী অভিলাস রামচন্দ্রণ। তিনি জানিয়েছেন, ধানচাষের প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে মঙ্গলের মাটিতে।
তিনি আরও জানান, ধানচাষের প্রয়োজনীয় উপাদান থাকলেও মঙ্গলের মাটিতে রয়েছে পার্ক্লোরেট রাসায়নিক, যা গাছ-গাছালির জন্য বিষের সমান। মঙ্গলের মাটির উপরিতলে তার হদিশ মিলেছে। তবে সেই মাটিকে চাষযোগ্য করে তোলা যেতে পারে।
রামচন্দ্রণের বক্তব্য, “মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে চাইছি আমরা। কিন্তু মানুষের সঙ্গে, জীবনধারণের সবকিছুও বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় সেখানে। খরচ হবে পাহাড়প্রমাণ। তাই মঙ্গলের মাটিতেই চাষ করতে হবে। ধন ফলানোতে তেমন হ্যাপাও নেই। খোসা ছাড়িয়ে সেদ্ধ করলেই হল।”
ইউনিভার্সিটি অফ আরকানসাসে কর্মরত রামচন্দ্রণ। তিনি এবং তাঁর সতীর্থরা মঙ্গল থেকে আনা মাটিতে ইতিমধ্যেই ধান ফলাতে সফল হয়েছেন। মঙ্গলের মাটিতে ধান ফলানোর পাশাপাশি নেভাডার মোজাভে মরুভূমি থেকে আনা ব্যাসল্ট শিলা মিশ্রিত মাটিতেও বীজ পোঁতেন তাঁরা।
এমনকি টবেও ধান ফলিয়েছেন রামচন্দ্রণ এবং তাঁর সহযোগীরা। উচ্চফলনশীল ধান চাষের উপযুক্ত মাটির মিশ্রণ ঢেলে পৃথক ভাবে বীজ পোঁতেন। দিনে একবার, বড় জোর দু’বার জল দিয়েছিলেন।
তাতে হাতেনাতে ফলও মেলে। মঙ্গলের মাটিতেও যেমন ধান ফলে, তেমন ধান ফলে হাইব্রিড মাটিতেও। তবে হাইব্রিড মাটির তুলনায় মঙ্গলের মাটিতে ফলানো ধানের অঙ্কুর এবং শিকড় তুলনায় হালকা ছিল।
তাই রামচন্দ্রণ আশাবাদী যে, জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে একদিকে যেমন মঙ্গলকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে তোলার ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে। তাবড় ধনকুবেররা তাতে অংশ নিচ্ছেন। সে ভাবে মঙ্গলের মাটিকেও চাষের উপযুক্ত করে তোলা যেতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -