Medical Science: ভুলবশত রোগীর ক্যান্সার টিউমার নিজের শরীরে চালান করে দিলেন চিকিৎসক, অস্ত্রোপচারে বড় বিপত্তি
পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই ঘটে, যা বিশ্বাসযোগ্য বলে ঠেকে না। আবার তথ্যপ্রমাণ থাকলেও, অনেক সময় সত্য মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দুনিয়াতেও অহরহ এমন ঘটে। তাই বলে রোগীর ক্যান্সার টিউমার নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করে ফেলবেন চিকিৎসক?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅবিশ্বাস্য ঠেকলেও রোগীর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে এভাবেই নিজের বিপদ ডেকে এনেছিলেন এক চিকিৎসক। ভুলবশত রোগীর রোগীর ক্যান্সারের টিউমার নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করে ফেলেছিলেন। বেশ কিছু বছর আগে যদিও ঘটনাটি ঘটে। তবে নতুন করে বিষয়টি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।
১৯৯৬ সালে জার্মানি থেকে বিষয়টি প্রথম সামনে আসে। জানা যায়, ৫৩ বছর বয়সি এক ক্যান্সার রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার করছিলেন ৩২ বছরের চিকিৎসক। তলপেট থেকে বের করছিলেন ক্যান্সারের টিউমার।
অস্ত্রোপচার চলাকালীন কোনও ভাবে ওই চিকিৎসকের হাত কেটে যায়। বাঁ হাতের তালুতে, মধ্যমার ঠিক নীচের অংশ কেটে যায় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতস্থান জীবাণুমুক্ত করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়।
কিন্তু এর মাস পাঁচেক পর ক্ষতস্থানটি ফুলে উঠতে দেখেন ওই চিকিৎসক। প্রথমে বিষয়টিতে আমল না দিলেও, প্রায় ১.২ ইঞ্চির মতো ফুলে গেলে চিকিৎসা করাতে ছুটে যান তিনি।
পরীক্ষা করে দেখা যায়, হাতের ওই ফোলা অংশটি আসলে টিউমার, তাও আবার ম্যালিগন্যান্ট অর্থাৎ ক্যান্সারের টিউমার। অস্ত্রোপচারের সময় যে ক্ষতস্থান তৈরি হয়, সেখানে টিউমার হওয়ায় আগের সেই রোগীর কথা মনে পড়ে যায় ওই চিকিৎসকের।
এর পর তাঁর হাতের টিউমার এবং আগের সেই রোগীর টিউমারের রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা যায়, দু'টি টিউমারের কোষের গঠন একেবারে এক। এতেই চমকে ওঠেন সকলে। বোঝা যায়, অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগীর ক্যান্সার টিউমারের কোষ চালান হয়ে যায় চিকিৎসকের ক্ষতে। সেখান থেকেই গজিয়ে ওঠে টিউমারটি।
কিন্তু গোটা ঘটনায় হতবাক গবেষকরা। তাঁদের মতে, বাইরে থেকে অন্য কিছু শরীরে ঢুকলে, শরীর নিজেই তাকে প্রতিহত করে। অন্য কোনও কোষের বৃদ্ধিকে ঠেকিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কেন এমন হল না, বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই।
যদিও গবেষকদের একাংশের মতে, ওই চিকিৎসকের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট ছিল না। ফলে ক্যান্সারের কোষটিকেও সঠিক সময়ে প্রতিহত করতে পারেনি।
এর দু'বছর পর হাতের টিউমারটি কেটে বাদ দেন ওই চিকিৎসক। তবে পরে আর ক্যান্সার ছড়ায়না, ফেরেওনি তাঁর শরীরীরে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -