Safety Pin Invention: মাথার উপর দেনা, সেফটি পিন আবিষ্কার করে পাওনাদারের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন ইনি...
বাঙালির জীবন সেফটি পিন ছাড়া চলে না। দৈনন্দিন জীবনে এতটাই প্রয়োজনীয় যে বাড়ির বড়দের চুড়িতেও সেফটি পিন ঝুলতে দেখেছি আমরা, যাতে বিপদে পড়লে হাতের কাছেই মেলে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু বাঙালির জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেলেও, সেফটি পিনের আবিষ্কার কিন্তু বিদেশে। শাড়ির আঁচল আটকাতে বা চেন কেটে যাওয়া ব্যাগের মুখ বন্ধ করতে নয়, সেফটি পিনের আবিষ্কার হয়েছিল সম্পূর্ণ অন্য কাজের জন্য।
আমেরিকার ওয়াল্টার হান্ট আধুনিক সেফটি পিন আবিষ্কার করেন। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন ওয়াল্টার। চাষের কাজও করতেন।
একবার লোহার তার নিয়ে কাজ করছিলেন ওয়াল্টার। সেই সময় তাঁর মাথায় ১৫ ডলার দেনা। বেখেয়ালে তার বেঁকিয়ে নানা আকার বানাচ্ছিলেন। আর তা করতে গিয়েই সেফটি পিন বানিয়ে ফেলেন।
জিনিসটি যে কাজে লাগতে পারে তা বুঝে যান ওয়াল্টার। সেই মতো যাঁর কাছে ধার ছিল, সেফটি পিনটি নিয়ে যান তিনি। ৪০০ ডলারের বিনিময়ে ঋণদাতাকেই সেফটি পিনের পেটেন্ট বিক্রি করেন ওয়াল্টার।
১৮৪৯ সালে আমেরিকায় ওয়াল্টারের নামেই সেফটি পিনের পেটেন্ট নথিভুক্ত হয়। একটি মাত্র তার ব্যবহার করে সেফটি পিন তৈরি করেছিলেন ওয়াল্টার।
তার ভাঁজ করে নীচে স্প্রিংয়ের মতো করে পাকিয়ে নেন প্রথমে। মাথার একদিকের অংশ বেঁকিয়ে দেন, যাতে অন্য অংশটি এসে আটকে থাকে তাতে।
হাতে যাতে বিঁধে না যায়, তাই তারের একটি অংশ পেঁচিয়ে দেন, যাতে অন্য অংশটি ভিতর দিক থেকে তার মধ্যে আটকে থাকে।
১৭৯৬ সালে আমেরিকার ইউ ইয়র্কে জন্ম ওয়াল্টারের। তিনি আধুনিক সেফটি পিনের স্রষ্টা। জামা-কাপড় পরার ক্ষেত্রে পিনের ব্যবহার ছিল তার বহু যুগ আগেও।
ব্রোঞ্জ যুগে প্রাচীন গ্রিকরা পোশাকের সঙ্গে পিন ব্যবহার করতেন। খ্রিস্টপূর্ব ১৪ শতকে পোশাকে পিন ব্যবহারের চল ছিল। সেই পিনকে বলা হতো ফিবুলে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -