When the Sun Disappeared: অন্ধকার সময়ের দাস্তান: টানা ১৮ মাস সূর্যালোক থেকে বঞ্চিত ছিল পৃথিবী, অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটে ওই সময়

সূর্য নিভে গেলে পৃথিবী এবং সৌরজগতের কী হবে, তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। কিন্তু সুদূর ভবিষ্যতে এমনটাই ভবিতব্য বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App
সূর্যকে ছাড়া অন্ধকারময় পৃথিবী কতদিন টিকে থাকবে, কোনও বিকল্প উপায় বের করা সম্ভব হবে কি না, সেই নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণও চলছে।

সুদূর ভবিষ্যতের কথা যদিও বাদও রাখা যায়, অতীতে কিন্তু অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল পৃথিবী। কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন নয়, একটানা ১৮ মাস অন্ধকার ছিল পৃথিবী।
৫৩৬ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে যায়। দিনের বেলাতেও সূর্য দেখা যায়নি আকাশে। ফলে একধাক্কায় তাপমাত্রা নেমে যায়। বহু মানুষ মারা যান। নষ্ট হয় ফসল।
ওই ঘটনা ইতিহাসে 'অন্ধকার সময়' বলেই পরিচিত। জানা যায়, রহস্যময় ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে গিয়েছিল ওই সময়। সেই ঘন-কালো ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে যায় সূর্যও।
কিন্তু ওই রহস্যময় ধোঁয়া এল কোথা থেকে? এর জন্য অগ্ন্যুৎপাতকে দায়ী করেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৮ সালে একটি জার্নালে ঘটনার কার্যকারণ বিশদে ব্যাখ্যা করা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানান, ৫৩৬ খ্রিস্টাব্দে আইসল্যান্ডে ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। এর দরুণ কালো ধোঁয়া ছাইয়ে ঢেকে যায় উত্তর গোলার্ধের আকাশ। সেই ধোঁয়াশা অতিক্রম করে সূর্যালোক পৃথিবীতে পৌঁছতে পারেনি। টানা ১৮ মাস সেই অবস্থা বজায় ছিল।
পৃথিবীর ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সেটিই সবচেয়ে বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাত বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। তাঁরা জানিয়েছে, এতটাই বিধ্বংসী ছিল ওই অগ্ন্যুৎপাত যে, গোটা পৃথিবীর জলবায়ুই পাল্টে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে দুর্ভিক্ষে জেরবার হতে হয় পৃথিবীকে।
প্রাচীন বাইজান্টাইনের ইতিহাসবিদ প্রোকোপায়াসের লেখায় ওই অন্ধকার সময়ের বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি লিখেছিলেন, 'সূর্যের আলোর কোনও ঔজ্জ্বল্য ছিল না। ঠিক চাঁদের মতো। গ্রহণ লেগেছিল সূর্যের উপর। ওই সময় যুদ্ধ, মহামারি এবং মৃত্যু থেকে নিস্তার ছিল না মানুষের'।
গোড়ার দিকে প্রোকোপায়াসের লেখাকে কেউ ততটা গুরুত্ব দেননি। তবে নয়ের দশকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাইকেল ম্যাককর্মিক ওই দাবিতে সিলমোহর দেন। দীর্ঘ সময় আয়ারল্যান্ডে গবেষণা চালিয়ে সেখানকার পরিবেশে অদ্ভূত বিবর্তন দেখতে পান গবেষকরা।
জানা যায়, ৫৩৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তাপমাত্রায় অদ্ভূত পরিবর্তন আসে। ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট নেমে যায়। চিনে গ্রীষ্মকালেও তুষারপাত হয়। রাতারাতিই সবকিছু পাল্টে যায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -