Venus Volcanic Activity: সহোদরা পৃথিবীর সঙ্গে বিস্তর মিল, শুক্রের বুকেও সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, ফুটন্ত লাভার হ্রদ
মাটির গঠন, আবহাওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে মিল রয়েছে। তাই পৃথিবী এবং শুক্রকে সহোদরা হিসেবেও দেখেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও যে ঘটে শুক্রর বুকে, এ বার তা সামনে এল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appযে সে ঘটনা নয়, শুক্রর বুকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা সামনে এল। তিন দশক আগেও সেখানে সক্রিয় ছিল আগ্নেয়গিরি। পুরনো রেকর্ড ঘেঁটে মিলল এমনই তথ্য়।
১৯৮৯ সালে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, মহাকাশে ‘ম্যাগেলান’ মহাকাশযান পাঠায়। শুক্রর উপরিতলের পুরো নকশা ক্যামেরাবন্দি করা প্রথম মহাকাশ যান সেটি।
এতদিন ‘ম্যাগেলান’-এর ক্যামেরাবন্দি করাকিছু নথি এবং ছবি আর্কাইভে পড়েছিল। সেগুলি বার করে নতুন করে গবেষণা শুরু হতেই শুক্রর বুকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা চোখে পড়ল।
নাসা-র তরফে অগ্ন্যুৎপাতের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে শুক্রর ‘মাট মন্স’ আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত প্রায় ৮ কিলোমিটার উঁচু অগ্ন্যুৎপাতের ঝলক দেখা গিয়েছে। ১৯৯১ সালে সেটি সক্রিয় ছিল।
‘ম্যাগেলান’-এর রেডারে যে ছবি ধরা পড়েছে, তাতে শুক্রর বুকে ছোট-বড় আগ্নেয়গিরি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেগুলি সক্রিয় কিনা, তিন দশক আগে নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
তবে নতুন করে গবেষণা শুরু হতে দেখা গিয়েছে, শুক্রর বিষুবরেখা বরাবর, অ্যাটলা রেজিও অঞ্চলে আগ্নেয়গিরির মুখ জেগে রয়েছে, তার মধ্যে দিয়ে জ্বলন্ত লাভার নির্গমন ঘটছে।
আরও একবার শুক্র অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। তাতে শুধুমাত্র ভূপৃষ্ঠের উপরিতল নয়, শুক্রর ভূ-গর্ভের অন্দরের গঠন নিয়েও গবেষণা হবে। দেখা হবে, পৃথিবীর সঙ্গে এত মিল সত্ত্বেও কী ভাবে এত উত্তাপ শুক্রতে।
‘মাট মন্স’ শুক্রর সর্বোচ্চতম আগ্নেয়গিরি, উচ্চতা প্রায় ২৬ হাজার ২৫০ ফুট (৮ হাজার মিটার)। ওই এলাকা এবড়ো খেবড়ো, শুকিয়ে যাওয়া লাভা জমাট বেঁধে রয়েছে প্রায় ২.২ বর্গকিলোমিটার জুড়ে।
শুধু তাই নয়, ১৯৯১ সালের অক্টোবর মাসে ‘ম্যাগেলান’ ফুটন্ত লাভার একটি হ্রদও দেখতে পারে। কিন্তু সেই সময় ক্যামেরার গুণমান তেমন ভাল ছিল না। তাই এতকাল বাক্সবন্দি হয়েই পড়েছিল সেই ছবি। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন গবেষণায় বিষয়টি সামনে এল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -