Diamond vs Emerald: সবদিক থেকে দু'টিই রত্ন, কিন্তু হিরে এবং পান্নার মধ্যে বিরলতম কোনটি?
Science News: দুই রত্নের প্রতিই অমোঘ আকর্ষণ গয়নাপ্রেমীদের। ছবি: ফ্রিপিক।
ছবি: ফ্রিপিক।
1/11
Diamonds Are a Girl's Best Friend বলে কথিত রয়েছে। নিজের রোজগারের টাকায় হিরে কেনার ইচ্ছেও থাকে মেয়েদের। হালফিলে আবার পান্নার গয়নার চাহিদা তরতরিয়ে বেড়েছে।
2/11
আসলে যে রত্ন যত বিরল, তার কদর তত বেশি। তাই দামও হয় আকাশছোঁয়া। কিন্তু হিরে এবং পান্নার মধ্যে সবচেয়ে বিরল কোনটি?
3/11
প্রকৃতির কোলে কত পরিমাণ কী মজুত রয়েছে, তার উপরই কদর নির্ভর করে। সেই নিরিখে হিরের চেয়ে বিরল পান্না। ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী, গোটা পৃথিবীতে মোট ৪৯টি পান্নার খনি রয়েছে।
4/11
অন্য দিকে, পৃথিবীতে ১০০০ শিলা রয়েছে, যা থেকে হিরে পাওয়া যায়। গোটা পৃথিবীতে প্রায় ১৫০টি হিরের খনি রয়েছে। কিন্তু হিরের সঙ্গে অন্য রত্নের তুলনা চলে না। কারণ হিরে উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংগঠিত শিল্প গড়ে উঠেছে। বাকি রত্নের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে না।
5/11
ন্যাচরাল রিসোর্সেস কানাডার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর গোটা পৃথিবীতে ২২ থেকে ৩৩ টন হিরের উৎপাদন হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই হিরে উত্তোলনের সঙ্গে যুক্ত। কোন হিরের কত দাম, সেই প্রক্রিয়াও অত্যন্ত জটিল।
6/11
সেই নিরিখে প্রতি বছর পৃথিবীতে ৭০০০ থেকে ৯০০ কেজি পান্নার উৎপাদন হয়, ৭ থেকে ১০ টন। ২০১৫ সাল থেকে কলাম্বিয়া, জাম্বিয়া, ইথিওপিয়া, মাদাগাস্কার এবং ব্রাজিলই মূলত পান্নার উৎপাদন করে আসছে।
7/11
২০২২ সালে ব্রিটিশ খনি সংস্থা Gemfields এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। কিন্তু হিরে ছাড়া অন্য রত্ন উত্তোলনের হিসেব রাখা কঠিন কাজ। কারণ যে ছোট ছোট সংস্থা অন্য রত্ন উত্তোলন করে, তাদের কাছে সবকিছুর রেকর্ড রাখার তেমন ব্যবস্থা নেই।
8/11
তবে হিরে এবং পান্না, দুই রত্ন উত্তোলনের প্রক্রিয়াই বেশ জটিল। মাটির ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটার গভীর থেকে হিরে তুলে আনতে হয়। মাটির সবচেয়ে গভীর থেকে উত্তোলন করা রত্ন হিরে।
9/11
কার্বনের একক স্ফটিক হিসেবে হিরে তৈরি হয়। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, তাপমাত্রা এবং চাপের হেরফের, সেই সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকেই হিরে তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় পৃথিবীর অন্তঃস্থলের একেবারে মধ্যিখানের স্তর থেকে। লাভার সঙ্গে তা উপরে উঠে আসে। তবেই তার নাগাল পায় মানুষ।
10/11
অন্য দিকে, পান্না তৈরি হয় বেরিল নামের খনিজ থেকে। সবুজ রংটি আসে ক্রোমিয়াম এবং ভ্যানাডিয়ামের সংযোজন থেকে। বেরিলের প্রধান উপাদান বেরিলিয়াম, যা ভূত্বকের আগ্নেয় শিলায় ঘনীভূত অবস্থায় থাকে। ক্রোমিয়াম এবং ভ্যানাডিয়াম আবার ভূত্বকের উপরের অংশে বেশি থাকে। যেখানকার মাটিতে এই ভূতাত্ত্বিক শর্তপূরণ হয়, সেখানেই পান্না পাওয়া যায়।
11/11
বেরিল যুক্ত শিলা চুনাপাথর বা নরম শিলার সংস্পর্শে এসে পান্নায় পরিণত হয়। আবার তরল অবস্থায় শিলা বয়ে যাওয়ার সময় পাথুরে পরিবেশ থেকে ক্রোমিয়াম তুলে নেয়। যে কারণে টেকটোনিক পাত যেখানে মুখোমুখি থাকে, সংঘর্ষপ্রবণ পার্বত্য অঞ্চলের মাটি থেকে পান্না পাওয়া যায়। তবে প্রাপ্তির নিরিখে হিরের তুলনায় পান্না বিরলতম।
Published at : 22 Oct 2024 10:08 AM (IST)